28.9 C
Bangladesh
Monday, 23, June 2025
spot_img

ঝিনাইদহে মুক্তিযোদ্ধা মসিউর রহমান মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় উন্নয়নে শিক্ষক,অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা

ঝিনাইদহে মুক্তিযোদ্ধা মসিউর রহমান মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অবকাঠামো,ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার মানউন্নয়নে শিক্ষক,অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সাথে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৯/০৬/২১ ইং) সকালে মুক্তিযোদ্ধা মসিউর রহমান মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের আয়োজনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক,ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব সাইদুল করিম মিন্টু।
মুক্তিযোদ্ধা মসিউর রহমান মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এ্যাডঃ ফারহান তানি রেশমা”র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিশুকুঞ্জ স্কুল এ্যান্ড কলেজের প্রভাষক(অবঃ) মোঃ আক্কাস উল আলম ও প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক আল মাসুর রহমান লিটন।মতবিনিময় সভা শেষে মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমান মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান অতিথি মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন ।
তিনি বলেন,“শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড ”অতি পুরাতন কিন্তু খাঁটি কথা।সৃষ্টির ঊষালগ্ন হতেই শিক্ষার গুরুত্ব অনুভুত হয়েছে অনুক্ষণ।একবিংশ শতাব্দীর এ বিজ্ঞান বিভাসিত যুগে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।শিক্ষা মনের অন্ধকার দূর করে,জাতিকে পৌঁছে দেয় উন্নতির স্বর্ণশিখরে। পৃথিবীতে যে জাতি যত শিক্ষিত, সে জাতি তত উন্নত।শিক্ষার মাধ্যমেই সমাজ তার সমগ্র উন্নতি এবং প্রবৃদ্ধি সাধন করতে পারে।কোন জাতিই শিক্ষা ছাড়া তাদের ভাগ্যোন্নয়ন করতে পারেনি,ভবিষ্যতেও পারবেনা। আজকের শিশুই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।সেই লক্ষে আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা যে অবস্থায় গিয়েছে তার উন্নয়ন অতি সহজেই হয়ে যাবে এমনটি আশা করা ঠিক নয়।তবে এখনই উদ্যোগ না নিলে বাংলাদেশের মানুষ সারা বিশ্বের কৃতদাস হয়েই থাকবে।জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য শিক্ষা খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ অপরিহার্য। শিক্ষক স্বল্পতাও শিক্ষা ব্যবস্থার একটি বড় সমস্যা।প্রাইভেট টিউশনি নিয়ে সাম্প্রতিককালে নানা মহলে উদ্বেগ বাড়ছে।
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার পরীক্ষাগারে,সাধারণ ছাত্র ছাত্রী গিনিপিগ হিসাবে ব্যবহ্নত হচ্ছে। এই শিক্ষা ব্যবস্থার পরীক্ষাগারে পরীক্ষা নিরীক্ষায় সধারন ছাত্র ছাত্রীর জীবন অতিষ্ঠিত।গ্রাম পুরে ছাই হয়ে যাক,তাতে কি, আমার গায়ে আগুনের উত্তাপ চাই।এই হলো আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় নীতি নির্ধারকদের ভুমিকা।
শহর ও গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে তা দুর করতে হবে।ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রত্যয়কে মনে রেখে প্রতিটি পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে সারা দেশের ছাত্রছাত্রীদের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা উচিত।শিক্ষক-অভিভাবক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির জন্য গতানুগতিক অনমনীয় প্রশাসন থেকে বেরিয়ে এসে নমনীয় বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনায় ফিরে আসা প্রয়োজন।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

0FansLike
0FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles