বর্তমান সরকারকে ‘স্বৈরাচার’ আখ্যা দিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, স্বৈরাচার এরশাদের পতন কিভাবে হয়েছে দেশের জনগণ দেখেছে তারাও (আওয়ামী লীগ) দেখেছে। এই দেশে স্বৈরাচারের কোনো স্থান নাই। এই অক্টোবর মাস এখনো শেষ হয়নি মাঝামাঝি। দেশের জনগণ মনে করে এই মাসের মধ্যে এই স্বৈরাচার সরকারকে পদত্যাগ করতে আমরা সক্ষম হব।
তিনি বলেন, পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। নির্বাচন কমিশন কি বলে? কে নির্বাচনে আসলো বা না আসলো তা দেখার বিষয় নয়। ঠ্যাং ভেঙে দেব। মগের মুল্লুক পাইছেন? আমাদের টাকায় জনগণের টাকায় চলাফেরা করেন, গাড়িতে উঠেন, বাসা ভাড়া দেন, আর কে আসলো আর না আসলো মানে?
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুনবাগিচা তোপখানা রোড বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের হলরুমে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ৯০’র ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম রূপকার মরহুম সাইফুদ্দিন আহমেদ মনির স্মরণ এবং ৯০ থেকে বর্তমান প্রেক্ষাপট শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম।
দুদু বলেন, সরকার এখন বুঝতে পারছে। বিরোধী দলের আন্দোলনে তার পাগল প্রায় অবস্থা। প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বক্তৃতা শুনলেই বুঝতে পারবেন তার মাথার অবস্থা কি। তার সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের অবস্থা কি। তিনি (ওবায়দুল কাদের) গতকাল যে কথা বলছে শাপলা চত্বরের চেয়ে ভয়ংকর পরিস্থিতি হবে বিরোধী দলের। এই কথা থেকে জানতে বাকি আছে তারা কি ধরনের, কি চরিত্রের? ওবায়দুল কাদেরের এই কথার কারণে তাকে এখনই গ্রেফতার করা উচিত।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, সব কিছুরই একটা শেষ আছে। এই সরকারেরও শেষ আছে। এই বছরের অক্টোবর, নভেম্বর, ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন সূর্য উঠবে বাংলাদেশে। নতুন পরিবর্তনের দিকে দেশ ধাবমান হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়াসহ যারা জেলখানায় আছে সকলকে বাহির করে নিয়ে আসবে। গণতন্ত্রের বাংলাদেশ হবে, স্বাধীন বাংলাদেশ হবে।
মরহুম সাইফুদ্দিন আহমেদ মনিকে স্মরণ করে কৃষকদলের সাবেক এই আহবায়ক বলেন, তিনি যে স্বপ্ন দেখতেন স্বৈরাচার মুক্ত গণতান্ত্রিক মানবাধিকার বাংলাদেশ। সেই স্বপ্নটা ছাত্র জীবন থেকে তিনি লালন করতেন। তিনি গণঅভুত্থান নেতৃত্ব যেমন দিয়েছেন তেমনি বর্তমান স্বৈরাচার সরকার এর বিরুদ্ধেও নেতৃত্ব দিয়েছে। আমরা যদি তাকে শ্রদ্ধা জানাতে চাই তাহলে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। এই স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশ যদি করতে পারি তাহলে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে।
বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান শামীমের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন— বিএনপির বন পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান বাবুল, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, ডাকসুর সাবেক এজিএস নাজিমুদ্দিন আলম, কৃষক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।