28.9 C
Bangladesh
Friday, 16, May 2025
spot_img

বোর্ড থেকে দিলেও দিচ্ছে না কলেজ !

ঝিনাইদহের গান্না ইউনিয়নে আলহাজ্ব মশিউর রহমান ডিগ্রী কলেজে শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনায় অটোপাস করা শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দিতে অনিয়ম ও দুর্নীতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রছাত্রীরা। তথ্যমতে ওই কলেজ থেকে ২০২০ সালে ১৪১ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থী ফর্ম পূরণ করেন। কিন্তু করোনার কারণে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। শিক্ষা বোর্ড থেকে অটোপাস দিয়ে দেয় সকল শিক্ষার্থীদের। পরীক্ষা না হলেও বোর্ডের নির্দেশ উপেক্ষা করে কেন্দ্র ফি বাবদ টাকা কর্তন করে রাখছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ বছর গান্না বাজারের মুদি দোকানদার আনছার আলী মেয়ে আসিয়া খাতুন বিজ্ঞান বিভাগ থেকে তিনি ফর্ম পূরণ করেন। তার রোল নং ১০৭৪৪৬। যশোর বোর্ড থেকে তার মোবাইল নাম্বারে এসএমএস পাঠানো হয় ৩০ জুন ২০২১ বুধবার রাত ৯টা ৪৬ মিনিটে। সেই এসএমএস’এ বলা হয় কলেজ থেকে ১০৬৫ টাকা ফেরত নিতে। একই কলেজের আরেক শিক্ষার্থী অনামিকা বিশ্বাস। তার রোল নম্বর ২২৮১৪৫। সে মানবিক বিভাগ থেকে পরীক্ষার্থী ছিলেন। ফর্ম পূরণের সময় মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের ৩২০০ করে টাকা নিয়েছিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। ৩০ জুন রাত ৯ টা ৪৫ মিনিটে অনামিকা বিশ্বাসের মোবাইলেও এসএমএস আসে যশোর বোর্ড থেকে তাকে ৭৩৫ টাকা ফেরত নিতে বলে কলেজ থেকে। ম্যাসেজ পেয়ে এই ব্যাচের পরীক্ষার্থী আরজ হোসেন, ইমন, সজিব, শাহানুর, শারমিন, সীমা, নদী, রিয়া, অনিক, রাজন, শাহান, সুমাইয়া, রাফিজা, ইমরান, মুন্না, রিফ, মামুনসহ সকল অটোপাস করা শিক্ষার্থীরা টাকা ফেরত নিতে আসেন। কিন্তু কলেজের ক্লার্ক রমজান আলী ৩০০ টাকা কেটে রেখে টাকা দিচ্ছেন। আসিয়া খাতুন নামে এক ছাত্রীর বড় ভাই মাহফুজ জানায়, তার বোনকে ১০৬৫ টাকার জায়গায় ৪৮০ টাকা দেওয়া হয়েছে এবং অনামিকা বিশ্বাসকে ৪২০ টাকা দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার সেন্টার খরচ বাবদ বাকী টাকা কর্তন করা হয়েছে বলে তাদেরকে বলা হয়েছে। এই বিষয়ে কলেজের ক্লার্ক রমজান আলী জানান, টাকা ফেরত দিচ্ছে প্রিন্সিপাল ও অসিম কুমার নামে এক শিক্ষক। কিভাবে কত টাকা দিচ্ছে আমি জানিনা। তবে পরীক্ষা না হলেও কেন্দ্র ফি কেটে রাখছে। মশিউর রহমান ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা সাঈদ জানান, ফর্ম ফিলাপ ও কেন্দ্র ফিস দুইটা আলাদা বিষয়ে। কলেজ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ১০% কর্তন করে ফেরত দেওয়া হবে। মার্কসিট ফেরত দিতে টাকা নেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়। প্রশংসা পত্র দিতে ১০০-১৩০ টাকা হারে নেওয়া হচ্ছে। কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। টাকা কর্তনের বিষয়ে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান, শিক্ষা বোর্ড হিসাব নিকাশ করেই ছাত্রছাত্রীদের এসএমএস করেছে। এই টাকা কেটে রাখার বিধান নেই। যে কলেজ কেটে রাখবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, প্রতিবছর ফর্মফিলআপ ও কলেজ উন্নয়নের নামে টাকা পকেটস্থ করা হচ্ছে। কলেজের জমি কেনায় দুর্নীতি করা হয়েছে।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

0FansLike
0FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles