পরিকল্পিত এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আড়াই বছরের শিশু মরিয়ম আক্তারের পায়ুপথ ও যৌনাঙ্গে ক্ষত সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিশুটির পায়ুপথ ও যৌনাঙ্গ ছেঁড়া। সংকটাপন্ন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।
শিশুটির সৎ মা আলিফা আক্তার রিপাকে (৩০) অভিযুক্ত করে শনিবার (১৪ আগস্ট) শিশুর দাদা আফাজ উদ্দিন শ্রীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত আলিফা আক্তার রিপা (৩০) মাগুরা জেলার সদর উপজেলার ধনপাড়া গ্রামের রজব আলী বিশ্বাসের মেয়ে।
স্বামীর কাছ থেকে একটি বহুতল পাকা ভবন লিখে নিতে লোভের বশবর্তী হয়ে সৎ মা এ কাজটি করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। শিশুর বাবা মোস্তফা কামাল দুবাই প্রবাসী। তিনি ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার বাঁশিয়া গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে।
শিশুর দাদা আফাজ উদ্দিন জানান, তার ছেলে মোস্তফা কামালকে গত ১৩ বছর যাবত দুবাই প্রবাস যাপন করছেন। প্রবাসের উপার্জিত অর্থ দিয়ে মোস্তফা কামাল গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার বেড়াইদেরচালা এলাকায় ১৪ শতক জমি ক্রয় করেন।
সেখানে তিনি পাঁচ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করেন। আট বছর আগে সাবিনা ইয়াছমিন নামে এক নারীকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করান। তাদের কোলে শিশুকন্যা মরিয়ম আক্তারের জন্ম হয়। শিশুটি জন্মের পর দুবাই প্রবাসকালীন অভিযুক্ত আলিফা আক্তার রিপার সাথে মোস্তফা কামালের পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠে। রিপাও বেশ কয়েক বছর দুবাই প্রবাসী ছিলেন। ওই সম্পর্ক পরে বিয়েতে গড়ায়। তারা উভয়ে দেশে ফেরেন।
পরকীয়ায় জড়িয়ে ওই নারী মোস্তফা কামালের প্রথম স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে ত্যাগ করা সহ (বিবাহ বিচ্ছেদ) একাধিক শর্ত দেন। নারীর চাপে সকল শর্তে মোস্তফা রাজী হয়ে প্রথম স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটান।
ওই সময় শিশু মরিয়মের বয়স ছিল চার মাস। প্রথম স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর আলিফা আক্তার রিপাকে বিয়ে করেন শিশুর বাবা মোস্তফা কামাল। বিয়ের পর গত ছয় মাস আগে তার আড়াই বছরের শিশুকে দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে রেখে আবার দুবাই প্রবাসে চলে যান।
এদিকে, দ্বিতীয় স্ত্রী আলিফা আক্তার হঠাৎ নারীঘটিত অসুস্থতার শিকার হন। ওই অসুস্থতায় তিনি কোনোদিন মা হতে পারবেন না বলে চিকিৎসক নিশ্চিত করেন। এ খবরের পর থেকে মোস্তফা কামালের ভবনটি লিখে নিতে নানা কৌশল আঁটতে থাকেন আলিফা আক্তার।
লোভের বশবর্তী হয়ে নিষ্পাপ শিশুটির উপর নানাভাবে নির্যাতন শুরু করেন।