খন্দকার গোলাম মর্তুজা, ঝিনাইদহ:
কৃষি উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম সারিতে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৭৫ ভাগ মানুষ এখনো গ্রামে বসবাস করে। গ্রামে যারা বসবাস করে, তাদের মধ্যে শতকরা প্রায় ৬০ ভাগ লোকের এখনো কৃষিখামার বা চাষাবাদ রয়েছে। অন্যদিকে শহরেও শতকরা প্রায় ১১ ভাগ মানুষ সরাসরি কৃষির সঙ্গে যুক্ত। কৃষি এখন শুধু ফসলের মাঠে নয়- মৎস্য, গবাদি পশু পালন, সবজি ও ফলের বাণিজ্যিক চাষাবাদ থেকে শুরু করে ব্যতিক্রম এবং নতুন নতুন কৃষিজ বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ ও সাফল্য দেশের সামগ্রিক কৃষি উন্নয়নে আশার আলো দেখাচ্ছে। ছাদ-কৃষিতেও ব্যাপক সাফল্য, আগ্রহ ও জনপ্রিয়তা আশাব্যঞ্জক। তারই ধারাবাহিকতায় কৃষিখাতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার, কৃষকদের ন্যায্যমূল্য পাওনা, কৃষকদের সরাঞ্জমাদী সহজলোভ্য করা এবং কৃষি উদ্যোক্তা তৈরীতে মোঃ কামরুজ্জামানকে সভাপতি ও মোঃ হারুনুর রশীদকে সাধারন সম্পাদক করে ঝিনাইদহে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট “কৃষক কল্যাণ সমিতি” গঠিত হয় । ঝিনাইদহের সকল উপজেলা থেকে আগত কৃষি উদ্যোক্তাদের নিয়ে আজ শনিবার ঝিনাইদহের পুরাতন ডিসিকোর্টের সামনে আহার রেষ্টুরেন্টে কৃষক সমাবেশ-২০২৪ শির্ষক এক সেমিনারে এই কমিটি গঠিত হয়। এ সময় বক্তারা বলেন, কৃষক কল্যান সমিতি কোন রাজনৈতিক সংগঠন নয়। আমরা ঝিনাইদহের সকল কৃষকদের কল্যাণে কাজ করবো। কৃষকদের যেকোন সমস্যায় এই সংগঠন তাদের পাশে থাকবে। কৃষকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে সব সময় কাজ করবে এই সংগঠন। আগামীতে ঝিনাইদহের সকল উপজেলায় কৃষক কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানান বক্তারা।