নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বরে শেরে বাংলা সড়কে ঝিনাইদহ ওয়েল মিল ও রংধনু প্লাজা মার্কেটের গলিতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রনজিৎ বিশ্বাসের দোকান উচ্ছেদ ও দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সদ্য বিএনপি থেকে বহিস্কৃত মো: ফারুক হোসেন তুহিন নামের একজনের বিরুদ্ধে। ফারুক হোসেন তুহিন ঝিনাইদহের আদর্শপাড়ার মৃত ছাত্তার মিয়ার ছেলে।
ভুক্তভোগী রনজিৎ বিশ্বাস জানান, আজ ৪৯ বছর যাবৎ এখানে আমরা ব্যবসা করছি। দোকানের এই জায়গাটির মালিক না হওয়া স্বত্বেও ফারুক হোসেন তুহিন আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি দখল করার চেষ্টা করছেন। গত শুক্রবার কয়েকজন লোক নিয়ে এসে দোকানের জায়গার মাঝখান দিয়ে লোহার গ্রীল লাগিয়ে দিয়েছে, লোহার গ্রীল লাগানোর সময় বাধা প্রদান করলে, তুহিনের সাথে থাকা লোকজন এসে হুমকি দেন, সেই সাথে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এই অবস্থায় এখানে ব্যবসা করাটা এখন ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সবসময় ভয়ে ভয়ে থাকতে হচ্ছে। দোকানের গলির মধ্য দিয়ে লোহার গ্রীল লাগানোর ফলে লোকজন বসতে পারছেনা। লোকজন বসতে না পারায় বেচা-বিক্রি অনেক কম হচ্ছে, যার ফলে আমার অনেক ক্ষতি হচ্ছে। আমি এখানে চা বিক্রি করে সংসার চালায়, বর্তমানে তার এমন ঘৃণ্য কর্মকান্ডে আমার সংসার চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে।
এছাড়াও রনজিৎ বিশ্বাস আরও জানান, ২০২৩ সালে একবার দোকান দখল করার চেষ্টা করেছিলো, সেসময় থানা পুলিশ দিয়ে নানাভাবে আমাকে হয়রানি করার চেষ্টা করেছিলো এই তুহিন।
রনজিৎ বিশ্বাসের দোকান
এবিষয়ে চা দোকানি রনজিৎ বিশ্বাসের পিতা সচিন বিশ্বাস জানান, আজ আমরা এখনে ৪৯ বছর যাবৎ ব্যবসা করছি। জোর পূর্বক তুহিন আমার দোকান দখল করার চেষ্টা করছে, সে ইতিমধ্যে দোকানের গলির অর্ধেকের বেশি জায়গা দখল করে নিয়েছেন। এখন পুরো দোকানটা দখল করার চেষ্টা করছেন। এঅবস্থায় আমরা কোথায় যাবো। আমরা এই দোকানের সম্পূর্ণ জায়গাটা ফেরৎ চায়।
অভিযোগের বিষয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, ঝিনাইদহ শহরের শেরে বাংলা সড়কে অবস্থিত রংধনু মার্কেট ও ঝিনাইদহ ওয়েল মিলের মাঝখানে সরু গলির মধ্যে লোহার গ্রীল লাগিয়ে গলির পিছনের অংশ দখল করে বাথরুম নির্মাণ করেছেন তুহিন নামের একজন। গলিটি লোহার গ্রীল দিয়ে আটকিয়ে দেওয়ার ফলে দোকানের মধ্যে জায়গা স্বল্পতা সৃষ্টি হয়েছে। যে কারনে সেখানে লোকজন বসতে পারছেনা।
এবিষয়ে পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ী ঝিনেদা ওয়েল মিলের মালিক শাহিন হোসেন জানান, রনজিৎরা এখানে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছেন। তারা এখানে ব্যবসা করুক, কেউ চাইলেই উচ্ছেদ করবে, দোকান দখল করবে এটা এত সহজ না।
এসমস্ত অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত ফারুক হোসেন তুহিনের কাছে জানতে চাইলে, তিনি জানান, এই গলিটি আমাদের জায়গায়, এখানে আমার যতটুকু জায়গা লেগেছে ততটুকু নেওয়া হয়েছে। রনজিৎরা যেখানে আছে সেখানে ব্যবসা করতে থাকুক। এতে আমার কোন আপত্তি নেই।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসের ১ তারিখে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক সাকিব আহমেদ বাপ্পি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ফারুক হোসেন তুহিনের সাথে বিএনপির কোন নেতা কর্মীর সম্পর্ক না রাখার জন্য।