সোমবার (২৮ জুন) থেকে সাত দিনের জন্য সারাদেশে ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করেছে সরকার। এই সময়ে সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে শপিংমল ও দোকানপাট। এ অবস্থায় পোশাক কারখানা খোলা রাখার দাবি জানিয়েছেন মালিকরা।
গার্মেন্টস খোলা রাখার বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরে মালিকরা বলছেন, গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ হলে শ্রমিকরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে গ্রামে যেতে চাইবে। এ কারণে গার্মেন্টস খোলা রাখা জরুরি।
তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, আমি মনে করি- পোশাক কারখানা এই লকডাউনের বাইরে থাকবে। কারণ তৈরি পোশাক কারখানা যদি বন্ধ করা হয়, তাহলে গার্মেন্টস কর্মীরা তখন গ্রামে যাওয়ার চেষ্টা করবে, বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। এটা সবাই জানে, ছুটি পেলেই শ্রমিকরা গ্রামের দিকে রওনা দেন। এতে করোনার প্রকোপ আরও ছড়িয়ে পড়বে। গ্রাম-শহর একাকার হয়ে যাবে।
শুক্রবার (২৫ জুন) সন্ধ্যায় তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকারের স্বাক্ষর করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে— সোমবার সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে লকডাউন শুরু হবে। এ সময় জরুরি সেবা ব্যতীত সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। জরুরি পণ্যবাহী ব্যতীত সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে শুধু যানবাহন চলাচল করতে পারবে। জরুরি কারণ ছাড়া বাইরে কেউ বের হতে পারবেন না।’
গত বছর করোনা পরিস্থিতির শুরুতে লকডাউন ঘোষণা করা হলে কারখানা বন্ধ হওয়ায় গ্রামে ছুটে গিয়েছিলেন হাজার হাজার গার্মেন্টকর্মী। পরে বেতন দেওয়ার কথা শুনে ট্রাকে গাদাগাদি করে ও পায়ে হেঁটে কর্মস্থলে ফিরে আসেন সবাই। কিন্তু ঢাকায় পৌঁছে তারা জানতে পারেন যে, কারখানা বন্ধ। ফলে ওই সময় হাজার হাজার শ্রমিক অনিশ্চয়তায় পড়েন।