করোনাকালীন পৌর সেবার মানোন্নয়নে ঝিনাইদহ পৌরসভার ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নে তৃণমূল জনগণের মতামত গ্রহণের লক্ষ্যে উন্মুক্ত বাজেট আলোচনা সোমবার অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে নাগরিকগণ দাবি তোলেন বাজেট হোক করোনার জন্য রূপান্তরিত, বাজেট হোক বাঁচার জন্য। স্বাস্থ্য খাতে মোট বাজেট বৃদ্ধিসহ করোনা মোকাবিলায় অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ী ও অক্সিজেন সেবা দেওয়ার জন্য বাজেট বরাদ্দ ও বিকল্প অস্থায়ী হাসপাতাল ব্যবস্থার জন্য উদ্যোগ গ্রহণের প্রস্তাব করা হয়। এছাড়াও ড্রেন ও রাস্তা সংস্কার এবং নির্মান ব্যয় বৃদ্ধি, ড্রেন পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা বিষয়ে সচেতন করতে মাইকিং, ডেঙ্গু মশা নিধনের বরাদ্দ বৃদ্ধি, প্রত্যেক মহল্লায় ডাস্টবিন দেওয়া, নবগঙ্গা দখল ও দুষণমুক্ত করা এবং পৌরকর কমানোর জোর দাবি জানানো হয়। অংশগ্রহণকারীগণ মনে করেন পৌর নাগরিকের টাকায় যেহেতু বেতন হয় সেহেতু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আরও সেবামূখী হওয়া, উন্নয়ন প্রকল্প পেতে সচেষ্ট থাকা ও নারীর ক্ষমতায়নে বিশেষ বরাদ্ধ রাখার প্রতি আরও সচেতন ভূমিকা রাখতে হবে। পৌরসভার বাজেট উপস্থাপন করেন পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু। সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), ঝিনাইদহের সহযোগিতায় এবং ঝিনাইদহ পৌরসভার আয়োজনে জুম অনুষ্ঠানে জনগণের সাথে নিবিড়ভাবে মতবিনিময় করেন মেয়র ও কাউন্সিলরবৃন্দ। টিআইবি’র সিভিক এনগেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক ফারহানা ফেরদৌস বলেন, এরূপ আয়োজন স্বচছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধির সহায়ক, যা অন্য প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে। প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন যে, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে এই বাজেট ভূমিকা রাখবে এবং নাগরিক মতামতের প্রতিফলন ঘটিয়ে সকল প্রকার দুর্নীতি প্রতিরোধের মাধ্যমে এটি বাস্তবায়িত হবে। সনাক সভাপতি মো: সায়েদুল আলমের সভাপতিত্বে সঞ্চালক ছিলেন সনাকের স্থানীয় সরকার উপ-কমিটির আহবায়ক সুরাইয়া পারভীন মলি। মূল্যবান বক্তব্য দেন মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সভাপতি আমিনুর রহমান টুকু, সাংবাদিক মিজানুর রহমান, পৌরসভার সচিব মোঃ মুস্তাক আহমেদ এবং সনাক সহসভাপতি নাসরিন ইসলাম। অনুষ্ঠানে পৌর কর্তৃপক্ষ চুড়ান্ত বাজেটে করোনা মোকাবিলায় অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থাসহ ড্রেন ও রাস্তা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেন।