ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে মাহাবুবুর রহমান মিলন ব্যক্তিগত উদ্যোগে রাস্তা করে দিলেন। উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের মহিষাডারা গ্রামের মাঝপাড়ায় সাড়ে ৪ মিটার রাস্তা নির্মাণ করে দিয়েছেন এলাকার মানুষের কষ্ঠ দেখে। রাস্তা চলাচলের উপযোগী না থাকায় এতদিন কৃষকরা মাঠের বিভিন্ন ফসল দুরদুরান্ত ঘুরে কষ্টে ফসল ঘরে তুলতে হতো কৃষকদের। কয়েক হাজার একর জমির ফসল এ রাস্তায় সহজেই বাড়ি পৌঁছুবে। রাস্তাটি নির্মিত হওয়ার মধ্য দিয়ে কৃষকদের দীর্ঘকালের দুর্ভোগ ঘুচলো। কৃষকের স্বার্থে মাহাবুবুর রহমান মিলন ব্যক্তিগত অর্থায়নে রাস্তা নির্মাণ কাজের প্রশংসা করেছেন এলাকার সাধারন মানুষ।
উপজেলার ৪ নং নিয়ামতপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড মহিষাডেরা গ্রামের মাঝপাড়ার মানুষ গুলোকে বছরের পর বছর ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো। মহিষাডেরা গ্রামের এই সড়কটি স্থানীয় জনসাধারণের গলার কাটায় পরিণত হয়েছিল। জনগণের দুর্ভোগের কথা শুনে স্থানীয় বিএনপি নেতা মাহাবুবুর রহমান মিলন নিজ উদ্যোগে এবং অর্থায়নে স্খানীয়দের সহযোগিতায় সাড়ে ৪ শত মিটার রাস্তা ম্যাকাডমকরণ করে চলাচলের উপযুক্ত করে দিলেন।
মহিষাডেরা গ্রামের মাঝপাড়ার ফায়জুর রহমান ফিরোজ খানের বাড়ি থেকে আফজালের বাড়ির অভিমুখে সাড়ে ৪ শত মিটার কাঁচা রাস্তা ম্যাকাডাম করে দিলেন। এলাকার এই রাস্তাটি দিয়ে বসবাসকারী প্রায় ৬ শ মানুষের চলাচল করে থাকে। দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে মিলন অবশেষে দুভোগের হাত থেকে রক্ষা করলো।
উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামের মৃত শরিফুল ইসলামের ছেলে ঠিকাদার মাহবুবুর রহমান মিলন। অত্র ইউনিয়নে রয়েছে ২৪ টি গ্রাম তন্মধ্যে মহিষাডেরা একটি অন্যতম জনবসতিপূর্ণ গ্রাম। এ গ্রামের ৩ হাজারের অধিক ভোটার রয়েছে এবং ৫ হাজার লোকের বসবাস এখানে। গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের কথা জানতে পারে ইউনিয়নের ছেলে মাহবুবুর রহমান মিলন। সাধারন মানুষের কথা চিন্তা করে তিনি রাস্তাটি চলাচলের উদ্যোগ গ্রহন করেন। তিনি শুধু একজন পেশাদার ঠিকাদারই নয় স্থানীয় রাজনীতির সাথেও জড়িত রয়েছেন। যুবদলের কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার সদস্য সচিব। মহিষাডেরা গ্রামের মাঝপাড়ার ফায়জুর রহমান ফিরোজ খানের বাড়ি থেকে আফজালের বাড়ির অভিমুখে সাড়ে ৪ শত মিটার কাচারাস্তা ম্যাকাডাম করণের কাজ সম্পন্নের পথে। সংযোগ স্থাপনকারী এই রাস্তাটি ম্যাকাডাম করার ফলে আশপাশে বসবাসকারী ৬, শত মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসান হলো। এ ছাড়া ইউনিয়নের একাধিক গ্রামের মানুষ এ রাস্তা নিয়ে নিয়মিত চলাচল করে থাকে।
মহিষাডেরা গ্রামের ভ্যানচালক মোক্তার হোসেন জানান, এ রাস্তাটি ইউনিয়নের কোন জনপ্রতিনিধি মেরামতের উদ্যোগ গ্রহন করেনি। কিন্তু নির্বাচন আসলেই জনপ্রতিনিধিরা নাকি প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিয়ে থাকেন যে, নির্বাচিত হতে পারলে তিনি এ রাস্তা করে দিবেন। কিন্তু যুগের পর যুগ অতিবাহিত হলেও কেউ এদের কথা শোনেনি।
মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, রাজনীতি করার সুবাদে ইউনিয়নের প্রত্যেকটি গ্রামের মানুষের সাথে আমার একটি আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। সামাজিক ও সামষ্টিক ব্যাপার গুলোর খোঁজ-খবর রাখি এ কারণে মহিষাডেরা গ্রামের মানুষের জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ইউনিয়ন বাসির সহযোগিতায় কাঁচারাস্তাটি চলাচলের পথ করে দিলাম।