রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় নাভানা জোহুরা স্কয়ারের ৫ম তলায় লেডিস টয়লেটে লুকিয়ে নারী সংবাদকর্মীদের ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে ‘মাগুরা এগ্রিকালচার পার্ক লিমিটেডে’ কর্মরত বিপুল ইসলামের বিরুদ্ধে। সোমবার (২১ জুন) বিকেলে ঘটনার সূত্র ধরে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের দুই নারী সংবাদকর্মী। ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিক জানান, অফিসের ফ্লোরে কমন টয়লেটে প্রবেশের পর মাথার ওপর শব্দ শুনে তাকিয়ে দেখেন, একটি মোবাইল ঠেলে ভিতরে দেওয়া হচ্ছে। এ সময় তিনি চিৎকার করলে সেখান থেকে মোবাইলটি সরিয়ে নিয়ে এক ব্যক্তি দ্রুত চলে যায়।পরে খোঁজাখুঁজি করেও কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে ভবন কর্তৃপক্ষকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করতে বলা হয়। এ ব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শী জানে আলম জানান, তিনি পুরুষ টয়লেটে থাকা অবস্থায় এক নারীর চিৎকার শুনে বের হয়ে এসে একজনকে দেখতে পান। তিনি লেডিস টয়লেটের দিক থেকেই আসছিলেন, তাই তার কাছে জানতে চান, এখানে কী করছেন? তখন ওই ব্যক্তি তাকে ঠেলে সরিয়ে বের হয়ে যান। বাইরে তাকে আর দেখা যায়নি। এদিকে, ওই ভবনের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে দেখা যায়, বিকেল ৪টা ৪২ থেকে ৪টা ৫০ মিনিটের মধ্যে সাদা জামা পরা এক ব্যক্তি টয়লেটে যাচ্ছে এবং সেখান থেকে দ্রুত গতিতে বের হয়ে এই ভবনের পঞ্চম তলায় ‘মাগুরা এগ্রিকালচার পার্ক লিমিটেড’র অফিসে প্রবেশ করছে। এ সময় যেই ব্যক্তিকে সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায় তার নাম বিপুল ইসলাম। প্রথমে সিসিটিভি ফুটেজ চাইলে ‘মাগুরা এগ্রিকালচার পার্ক লিমিটেড’র পক্ষ থেকে তা দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়। পরবর্তীতে দ্য রিপোর্টের আইটি বিভাগ এবং ভবন মালিকদের সহায়তায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখার পর আসল চিত্র প্রকাশ পায়। এরপর ঘটনাটি শাহবাগ থানায় জানানো হয়। পরে, শাহবাগ থানার এসআই মোস্তফা কামাল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ফুটেজ দেখেন। এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন-অর-রশিদ জানান, প্রাথমিকভাবে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরিও গ্রহণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ জুন) সাইবার অপরাধ বিষয়ক একটি তদন্ত দল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবে। অভিযুক্তের মোবাইল সাইবার ইউনিটে পাঠানো হবে। প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া।