বৈরি আবহাওয়ায় চলতি বছর ভারতে ধানের উৎপাদন হ্রাস পেতে পারে। এ আশঙ্কায় দেশটিতে হু হু করে বেড়ে চলেছে চালের দাম। তাতে লাগাম টানতে এবং অভ্যন্তরে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে হঠাৎ খাদ্যপণ্যটি রপ্তানি বন্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এতে কিছু দেশের ওপর ‘মারাত্মক’ প্রভাব পড়বে বলে শঙ্কা জেগেছে। ভারতীয় শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্য দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ অর্থবছরে ভারত থেকে নন-বাসমতি সাদা চাল কিনেছে ১৪০টিরও বেশি দেশ। গত ২০ জুলাই কেন্দ্রীয় সরকার তা রপ্তানি বন্ধ করায় স্বাভাবিকভাবেই সামনের দিনে এদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে সবচেয়ে বেশি ভুগবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নেপাল ও বাংলাদেশ, আফ্রিকার মাদাগাস্কার, বেনিন, কেনিয়া ও আইভরিকোস্ট, এশিয়ার মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনাম এবং মধ্যপ্রাচ্যের সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ভারতীয় চালের সর্বোচ্চ ক্রেতা এসব দেশ। ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ভারত থেকে সবচেয়ে বেশি চাল কেনা ৫০ দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে নেপাল। ১১তম স্থানে আছে বাংলাদেশ। আর যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ৩৪তম। ভারতের নিষেধাজ্ঞায় এ তিন দেশের ওপর বাজে প্রভাব পড়বে।
ক্যামেরুন, টোগো, মোজাম্বিক, গায়ানা, অ্যাঙ্গোলা, সৌদি আরব, কাতার, সিঙ্গাপুর, ইরাক, তিমুর-লিস্তা, ঘানা, মিশর, শ্রীলঙ্কা, চীন, ডিআর কঙ্গো, ব্রাজিল, ওমান, কঙ্গো, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, আলজেরিয়া, নাইজার ও ইয়েমেন সংকটের মুখে পড়বে। এছাড়া তানজানিয়া, রাশিয়া, সেনেগাল, বুরকিনো ফাসো, পাপুয়া নিউগিনি, ইরান, কুয়েত, ফিলিপাইন, ভুটান, পুয়ের্তেরিকো, সুদান, জিবুতি, মাউরিশিয়াস, ভেনেজুয়েলা, বাহরাইন, সিয়েরালিওন, রোমানিয়া ও যুক্তরাজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অর্থাৎ দক্ষিণ এশিয়া, সাব-সাহারান আফ্রিকা, পূর্ব এশিয়া ও প্যাসিফিক, পশ্চিম এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকা, ইউরোপ ও মধ্য এশিয়া, লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় এবং উত্তর আমেরিকার দেশগুলো দারুণ ক্ষতির সম্মুক্ষীণ হবে।
এবার ভারতের উত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য অঞ্চলে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে এ বছর দেশটিতে ধান রোপন ব্যাপক ব্যাহত হয়েছে।