28.9 C
Bangladesh
Thursday, 19, June 2025
spot_img

জোড়াতালি দিয়েও ঠিকমতো চলছে না মহেশপুর সাব রেজিস্ট্রি অফিস

অনলাইন প্রতিবেদক :

জোড়াতালি দিয়েও ঠিকমতো চালানো যাচ্ছে না ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সাব রেজিস্ট্রি অফিসের কার্যক্রম। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সেবা প্রত্যাশীরা।

দিনের পর দিন জমি রেজিস্ট্রি না করতে পারায় জমি ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভোগান্তির পাশাপাশি সরকারও হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। তাই দ্রুত এ সমস্যা সমাধানে সাব রেজিস্ট্রার পদায়নের দাবি সেবা প্রত্যাশীসহ সংশ্লিষ্টদের।

স্থায়ী সাব রেজিস্টার থাকতে আগে যেখানে প্রতি মাসে ৯০০ দলিল রেজিস্ট্রি হতো, এখন সেখানে হচ্ছে মাত্র ৪০০। সরকারের এ খাত থেকে রাজস্ব কমেছে মাসে প্রায় ৬০ লাখ টাকা।

জানা যায়, মহেশপুর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের আওতায় পৌরসভাসহ ১২টি ইউনিয়নের ২৫৫টি গ্রামে প্রায় ৪ লাখ মানুষ বসবাস করেন। এই উপজেলার সাব রেজিস্ট্রার গত বছরের ডিসেম্বরে বদলি হওয়ার কারণে বিভিন্ন গ্রামের মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার দূর থেকে এসেও ফিরে যেতে হচ্ছে। প্রায় ১০ মাস স্থায়ী সাব রেজিস্ট্রার না থাকার কারণে জমি রেজিস্ট্রি হচ্ছে না ঠিকমতো।

১ জন সাব রেজিস্ট্রারকে পালাক্রমে (মহেশপুর-কোটচাঁদপুর) ২ উপজেলার দায়িত্ব দেওয়া হলেও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে না তিনি। সকাল ৯টার সময় অফিস চালু হওয়ার কথা থাকলেও সাব রেজিস্ট্রার মহেশপুরে আসেন ১১টার পরে। ফলে চরম দুর্ভোগে সেবাপ্রত্যাশীরা।

রেজিস্ট্রি না হওয়ায় শত শত জমি ক্রেতা-বিক্রেতা ও জরুরি কাজে দলিল উত্তোলনকারীরা চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। পাশাপাশি সরকার প্রতি মাসে ৬০ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।

সেবাপ্রত্যাশীদের অভিযোগ, সকাল ৯টার সময় অফিস চালু হওয়ার কথা থাকলেও সাব-রেজিস্ট্রার মহেশপুরে আসেন ১১টার পরে। সাব রেজিস্ট্রারের অভাবে কাজ হচ্ছে না। দলিল নিতে এসে অনেকে ফিরে যাচ্ছেন। দলিল রেজিস্ট্রি ও দলিলের নকল না পেয়ে অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সাব রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর ছাড়া কিছুই হয় না। এমন গুরুত্বপূর্ণ পদের কর্মকর্তা মাসের পর মাস না থাকা এমনকি সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন না করায় মানুষের খুব কষ্ট হচ্ছে। সাব রেজিস্ট্রার না থাকায় সব কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। এতে অনেক ভোগান্তি হচ্ছে।

মহেশপুর উপজেলার সামন্তা গ্রামের নজের আলী বলেন, তিন সপ্তাহ ধরে ঘুরে জমির দলিল রেজিস্ট্রি করেছি। এতে করে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে আমাকে। একদিকে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয়েছে অপরদিকে সময় অপচয় হয়েছে।

দলিল লেখক বাবর আলী বাবু বলেন, সপ্তাহে দুইদিন অফিস চলে। নিয়মিত সাব রেজিস্ট্রি অফিস না চলার কারণে দলিল লেখকসহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার দূর থেকে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের। গত প্রায় ১০ মাস ধরে রেজিস্ট্রার নিয়মিত না থাকার কারণে জমি রেজিস্ট্রি হচ্ছে না ঠিক মত।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

0FansLike
0FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles