28.9 C
Bangladesh
Thursday, 22, May 2025
spot_img

জয়ের সেঞ্চুরিতে ইমার্জিং এশিয়া কাপের সেমিতে বাংলাদেশ

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হার দিয়ে ইমার্জিং এশিয়া কাপ শুরু করা বাংলাদেশ ওমানের বিপক্ষে পেয়েছে জয়। সেমি-ফাইনালে যেতে জিততেই হবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। বড় ব্যবধানে জিতলে ওমান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের সমীকরণের দিকেও তাকাতে হবে না। ২১ রানের জয়ে সেমি-ফাইনালে পৌঁছে গেলো সাইফ হাসানের দল।

১৭ জুলাই সংবাদ সম্মেলনে আফগানদের বিপক্ষে ম্যাচকে মর্যাদার লড়াই হিসেবে উল্লেখ করেন মাহমুদুল হাসান জয়। এই প্রতিপক্ষের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে চান না তারা। 

ম্যাচে তার প্রতিফলন ঘটেছে, সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ব্যাট হাতে নেতৃত্ব দেন জয় নিজেই। বাংলাদেশের ৭ উইকেটে ৩০৮ রানের জবাবে আফগানিস্তান থামে ৮ উইকেটে ২৮৭ রানে।

বাংলাদেশের হয়ে জয় ১০০, জাকির হাসান ৬২ ও সৌম্য সরকার ৪৮ রান করেন। শেষদিকে অপরাজিত ৩৬ রানের ক্যামিও শেখ মেহেদীর।  

কলম্বোর পি সারা ওভালে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে আজ সুবিধা করতে পারেনি নাইম শেখ (১৮) ও তানজিদ হাসান তামিম (৯)। ব্যর্থ হয়েছেন অধিনায়ক সাইফ হাসানও (৪)। ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে বাংলাদেশ।

সেখান থেকে জাকির-জয়ের ১১৭ রানের জুটি। ৭২ বলে ৬ চার ২ ছক্কায় ৬২ রান করে জাকির আউট হলে দুজনের বিচ্ছেদ হয়। এরপর সেঞ্চুরির পথে হাঁটা জয় সঙ্গী হিসেবে পান সৌম্য সরকারকে। 

দুজনে মিলে পঞ্চম উইকেট জুটিতে যোগ করেন আরও ৭৯ রান। ততক্ষণে ৫৪ বলে জয় তুলে নেন ফিফটি। ফিফটির দ্বারপ্রান্তে গিয়ে আউট হন সৌম্য। সমান তিনটি করে চার, ছক্কায় ৪২ বলে সাজান ৪৮ রানের ইনিংসটি।

ক্রিজে এসে সুবিধা করতে পারেননি আকবর আলি (১০ বলে ৪)। তবে শেখ মেহেদী হাসানকে নিয়ে সাবলীলভাবে সেঞ্চুরি হাঁকান জয়। ইনিংসের ৪৬তম ওভারের শেষ বলে বাঁহাতি স্পিনার শরাফউদ্দিন আশরাফকে ছক্কা মেরে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন জয়। যে পথে তার লেগেছে ১১৩ বল।

সেঞ্চুরির পর অবশ্য এক বলও টিকেননি জয়। মোহাম্মদ সেলিমকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন রিয়াজ হোসেন। ১১৪ বলে ১২ চার ২ ছক্কায় সাজান ১০০ রানের ইনিংসটি। 

এরপর শেখ মেহেদী খেলেন ১৯ বলে ৩৬ রানের ক্যামিও। অপরাজিত ইনিংসটি সাজান ৬ চার ১ ছক্কায়। রাকিবুলের ব্যাটে ১২ বলে ১৪। 

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে আফগানরা দলীয় ২৬ রানে হারায় ওপেনার জুবায়েদ আকবরিকে (১০)। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে হাল ধরেন আরেক ওপেনার রিয়াজ হাসান ও নুর আলি জাদরান। দুজনে মিলে জুটিতে যোগ করে ৯০ রান। 

৪৪ রান করা জাদরানকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব। জাদরান না পারলেও রিয়াজ ফিফটি তুলে ছুটছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। তাকে ৭৮ রানে থামান সৌম্য। ১০৫ বলে ৭ চার ২ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান রিয়াজ।

সেখান থেকে শহিদুল্লাহ কামাল ও বাহির শাহের ৭০ রানের জুটি। এ দফায় জুটি ভাঙে ৪৪ রান করা শহিদুল্লাহ আউট হলে। তাকে বোল্ড করে নিজের দ্বিতীয় শিকার রাকিবুল হাসানের।

ক্রিজে আসা নতুন ব্যাটার ইকরাম আলিখিলকে (১) দ্রুত ফেরান সাকিব। আর তাতে ৫ উইকেটে ২২২ রানে পরিণত হয় আফগানিস্তান। 

এরপর আর ম্যাচে ফেরা হয়নি, কঠিন সমীকরণ আরও কঠিন হয়ে যায় আফগানদের জন্য। ৮ উইকেটে ২৮৭ রান পর্যন্ত যেতে পেরেছ তারা। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পেসার সাকিবের। 

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

0FansLike
0FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles