নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঝিনাইদহ ফ্যামিলি জোন কমিউনিটি সেন্টারে দেদারছে চলছে রমরমা আড্ডা ও ভয়ঙ্কর মাদক সেবন। ঝিনাইদহের কবি সুকান্ত সড়কে অবস্থিত পাবলিক লাইব্রেরীর নিচতলায় অবস্থিত ফ্যামিলি জোন।
একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ফ্যামিলি জোনের মালিক মোঃ মাসুম নিজেই মদের বোতল হাতে বসে আছেন। সেই সাথে অন্যান্য মাদক সেবন করার সরাঞ্জমও দেখা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান, রাত গভীর হলেই ঝিনাইদহ ফ্যামিলি জোনে নিয়মিত চলে মাদক সেবন, রমরমা আড্ডা । স্থানীয়রা জানান, ফ্যামিলি জোন আসলে কোন কমিউনিটি সেন্টার না। কমিউনিটি সেন্টারের নামে, এখানে মাদক সেবনের আশ্রম গড়ে তোলা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশী অভিযানে অসংখ্য মাদক বিক্রেতা আটক হয়ে জেলা হাজতে গেলেও, এদের গটফাদাররা কৌশল পরিবর্তন করে ধরা ছোয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছেন। যার ফলে যুব সমাজ মাদকের ফাঁদ থেকে বের হয়ে আসতে পারছে না। সচেতন মহল মনে করে মাদক ব্যবসা প্রতিরোধ করতে না পারলে আগামী প্রজন্মের জন্য আশনি সংকেট অপেক্ষা করছে। সেই সাথে তারা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের কাছে অনুরোধ করেছেন মাদক ও অসামাজিক ব্যবসার নেপথ্য গট ফাদারদেরকে শাস্তির আওতায় আনার।
এই বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধে, ফ্যামিলি জোনের মালিক মাসুম একজন মানবাধিকার কর্মীকে পাঠিয়েছিলেন এই প্রতিবেদকের কাছে। মানবাধিকার কর্মী জানান, ফ্যামিলি জোন মাসিক ২০ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়ে চালাচ্ছেন মাসুম। সেখানে আমরা নিয়মিত আড্ডা দেই। আমার অফিস ও সেখানে। মাদক সেবনের বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তাকে ব্লাক মেইল করেছে বহিরাগতরা। বাইরে থেকে মদের বোতল নিয়ে এসে ব্লাক মেইল করা হয়েছে কী না এমন প্রশ্নের জবাবে, মানবাধিকার এর ঐ কর্মী জানান, বোতল ওখানেই ছিলো। তবে নিউজ প্রকাশ করলে একটু ভেবে চিন্তে করো। এর ভিতর দুই একজন রাজনৈতিক নেতা ঢুকে গেছে তো।
এ বিষয়ে ফ্যামিলি জোনের মালিক মাসুম বলেন, আমাকে ব্লাক মেইল করে চাঁদা আদায় করতে চেয়েছিলো। কারা চাঁদা দাবী করেেেছন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি। এবং উক্ত ঘটনার বিষয়ে প্রশাসনের কাছে কোন লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি র্যাবে অভিযোগ দিয়েছি। র্যাব এর গোয়েন্দা শাখা এটি নিয়ে কাজ করছে। র্যাবের কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগের কপি চাইলে মাসুম বলেন অভিযোগের কপি আমার কাছে নেই।