কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহের মধ্যবর্তী গুরুত্বপূর্ণ স্থান শেখপাড়া বাজারের প্রতিটি সড়ক যেন কান্নায় ভাসছে । কিছু কিছু জায়গায় রাস্তার একতৃতীয়াংশ গর্ত হয়ে গিয়েছে । করোনাময় সময় কিছুটা এই সমস্যাটি কম অনুভব হলেও ধারণা করা হয় এই গর্তের কারণে লকডাউন পরবর্তী সময়ে যানবাহনের চলাচল ও জনমনে ব্যাপক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সোমাবার (১২ জুলাই) ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার শেখপাড়া বাজারে গিয়ে এই দুরবস্থা চিত্রের দেখা মেলে । এছাড়াও শৈলকূপা উপজেলার বিশ্বরোডে বিশেষ করে গাড়াগঞ্জ ও ভাটই বাজারের রাস্তার ভয়াবহ অবস্থা লক্ষ্য করা যায় । প্রত্যক্ষদর্শীরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, “এসব রাস্তা বারবর নিম্ন মানের ইট পাথর ও পিচ ব্যবহার করায় এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে । লাল ফিতার দৌরাত্ম অনুসরণ করে রাস্তায় বেহাল দশা বানানো হয়। ”
মহাসড়কের এই বেহাল দশাটি শেখপাড়া বাসস্ট্যান্ড মসজিদের প্রধান ফটকের সামনে হওয়ায় এতে নামাজে আসা মুসল্লিদের কিছুটা ভোগান্তি সহ্য করতে হয় । গর্ত ও চারপাশ পানি জমে থাকায় অনেকের রাস্তাপার হতে অন্য দিক থেকে ঘুরে আসেন। এছাড়াও এই গর্তের পাশে থাকা স্থানীয় ফুটপাত ব্যবসায়ীদের দোকানে লোকজন না আসায় করোনার মাঝে তারাও বিপাকে পড়েছেন । পথচারীরা জানান, এই জায়গাটা অনেক বড় গর্ত হয়েছে। এটা আমাদের জন্য এখন অনেক বড় একটা সমস্যা । আমাদের মসজিদে যেতে সমস্যা হয় । যেকোন সময় বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে । এই স্থানটি বিপদজনক হওয়ায় ও মানুষের বোঝার সুবিধায় নিজে রেড সিগনালে কাপরের টুকরো বেঁধে রেখেছি। তিনি আরও বলেন, অনেকদিন ধরে এই সমস্যাটি থাকলেও প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ লক্ষ করেননি। ঊর্ধ্ধতন কর্মকর্তাদের উচিত এই স্থান পর্যালোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া। এতে মসজিদের মুসল্লি ও এলাকাবাসীর ও স্ট্রিট ব্যবসায়ীদের অনেক উপকার হবে। ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শেখপাড়া থেকে শৈলকূপা হয়ে লাঙ্গলবাঁধ (শ্রীপুর) দিয়ে ওয়াপসামোড় (মাগুরা) পযর্ন্ত সড়কের প্রশস্তকরণ ও মজবুতকরণ প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে । কিছুদিন আগে কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ মহাসড়কেও কিছুটা অংশে সংস্কার কাজ করা হয়েছে । এখন নতুন করে এই সড়ক নিয়ে সড়ক বিভাগ কিছু ভাবছে না । করোনা পরবর্তী সময় এসব পর্যালোচনা করে দেখা হবে ।