ঝিনাইদহের চাঞ্চল্যকার অমিতাভ সাহা হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজলু ওরফে রাজু নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হাটগোপালপুর এলাকার মুনাব্বর হোসেনের ছেলে।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া জানান, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় মেহেরপুর সীমান্ত থেকে রোববার রাতে রাজলুকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান ও সদর থানার ওসি শেখ সোহলে রানাসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ জানায়, অমিতাভ সাহা গত ৩১ আগষ্ট নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পর গত ৩ সেপ্টম্বর ঝিনাইদহ শহরের ধোপাঘাটা ব্রীজ এলাকায় তার বস্তাবন্দি লাশ খুঁজে পায় পুলিশ। নিহত অমিতাভ সাহা মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের অশোক সাহার ছেলে। তিনি ঝিনাইদহ আদালত চত্বরে একটি ক্যান্টিন পরিচালনা করতেন।
লাশ উদ্ধারের পর তার কথিত স্ত্রী তিশা নন্দি লাশটি অমিতাভের বলে সনাক্ত করেন। পুলিশের একাধিক সুত্রে জানা গেছে, অমিতাভ ও তিশা নন্দি স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ঝিনাইদহ শহরের সড়ক ও জনপথ অফিসের বিপরীতে ওলিয়ার রহমানের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। এর আগেও একাধিক বাড়িতে ভাড়া ছিলেন তারা। তাদের এই ঘন ঘন বাসা পরিবর্তন নিয়ে সন্দেহ করছে পুলিশ।
তিশা নন্দি অভিযোগ করেন, হাটগোপালপুর এলাকার রাজলু ওরফে রাজু নামে এক ব্যক্তি চাকরী দেয়ার নাম করে গত ৩১ আগষ্ট অমিতাভ সাহাকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ ছিল। তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন নিহতের স্ত্রী।