ঝিনাইদহে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু উর্ধ্বগতির মুখে যখন কঠোর বিধি নিষেধ পালিত হচ্ছে তখন জটলা পাকিয়ে ঝিনাইদহ সোনালী ব্যাংক ভাতার টাকা বিতরণ করছে। এতে মহামারী আকারে করোনা ছড়িয়ে পড়ার শংকা দেখা দিয়েছে। সোমবার ঝিনাইদহ শহরের উজির আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বিধবা ভাতার টাকা বিতরণ শুরু করে সোনালী ব্যাংক ঝিনাইদহ শাখা। এসময় সদর উপজেলার সুরাট ইউনিয়নের ১৭৩ জন বিধবার মাঝে বকেয়া থাকা গেল বছরেরর জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের টাকা দেওয়া হয়। এভাবে জনসমাগম ঘটিয়ে ভাতার টাকা বিতরণে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। সদরের সুরাট ইউনিয়নের বাসিন্দা আনোয়ারা বেগম জানান, সকাল ৮ টা থেকে বিধবা ভাতার টাকা নেওয়ার জন্য সোনালী ব্যাংকে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে স্কুল মাঠে উপস্থিত হতে বলা হয়। সেই থেকে মাঠে এসে বসে আছি। আমার মতো শতাধীক বিধবা জটলা পাকিয়ে বসে আছি। সুরাট গ্রামের মারিয়া বেগম বলেন, ভাতার টাকা নিতে এসে দেখি সবাইকে এ জায়গায় জড়ো হয়ে বসে আছে। কোন স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের মানবাধিকার নেতা অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান টুকু জানান, এটা খুবই দু:খ জনক করোনার এমন পরিস্থিতিতেও এভাবে জটলা তৈরি করে ভাতা বিতরণ করা হচ্ছে। এই জটলা থেকে যদি কেউ করোনা আক্রান্ত হয় তার দায়ভার কে নেবে ? সুতরাং প্রশাসনেরও এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা দরকার ছিল। সতর্ক থাকা উচিৎ ছিল ব্যাংক কর্তৃপক্ষের। এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংক ঝিনাইদহ শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার আবুল কালাম বলেন, কিছু ভাতার টাকা বকেয়া ছিল। এখানে এসে সে টাকা দিচ্ছি। আমরা বলছিলাম গ্রহীতাদের দুরে সরে থাকতে। কিন্তু তারা তা মানছে না। তারা না মানলে আমরা কি করতে পারি বলুন। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, জটলা পাকিয়ে ভাতা বিতরণের বিষয়টি জানলাম। সেখানে স্বাস্থ বিধি নিশ্চিতে ব্যবস্থা নিচ্ছি।