ঝিনাইদহে হাট ব্যবসায়ীরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
বার বার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের অজুহাতে বুধবার (২৬ জুলাই) সকাল থেকে তারা এ ডাক দেন। এতে করে হাজারো সাধারণ ক্রেতা পড়েছেন চরম বিপাকে। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান না হলে জটিলতা আরো বাড়বে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ী ও সাধারণ গ্রাহক।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বিকেলে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল হক ও ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক সিরাজুম মুনিরা নতুন হাটখোলায় অভিযান চালান। এসময় তারা দুটি দোকানে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে। সেসময় আশপাশের ব্যবসায়ীরা বিচারকদের অবরুদ্ধ করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় রাতে ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক সিরাজুম মুনিরা বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৮০/৯০ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার পর দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনার প্রতিবাদ ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বুধবার (২৬ জুলাই) সকাল থেকেই ধর্মঘট পালন করছেন হাট ব্যবসায়ীরা।
বাজার করতে আসা রহমান মিয়া জানান, বাজারে এসে দেখি সব বন্ধ। খুব স্বাভাবিকভাবেই এটা এক চরম সমস্যা। বাজার খোলা না থাকলে কি হয় তা আপনারা ভালোই বোঝেন।
রিকশাওয়ালা মারুফ মিয়া জানান, আমরা দিন আনি দিন খাই। সারাদিন ভাড়া মেরে যদি দেখি বাজারই বন্ধ, তাহলে তো ঝামেলার শেষ নেই । এমনিই জিনিষের যে দাম। এই বাজার বন্ধ থাকলে অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেয়ে বসবে।
বাজারের এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, পরপর ৩ দিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে ওনারা একই জায়গায়। মূল্য চার্টের ওপর ময়লা কেন তার জন্যও ৩ হাজার টাকা জরিমানা, ডাল আসে প্লাষ্টিকের বস্তায়। আমরা সেই বস্তা খুলে বিক্রি করি। প্লাষ্টিকের বস্তায় কেন বেচি এর জন্য জরিমানা। কোথায় যাবো আমরা।
নতুন হাটখোলা বাজার কমিটির সভাপতি আব্দুর গফুর জানান, ইতোমধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হচ্ছে চাল ব্যবসায়ী আরিফ ও পাখি ব্যবসায়ী অন্তর। তাই ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে রয়েছেন। তাই তারা কেউ বাজারে আসেননি। আমরা সকালে একটি মিটিং করেছি। এখন পৌরসভার মেয়রের সঙ্গে মিটিং করতে যাচ্ছি। দেখা যাক কি হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দোকাল মালিক সমিতির সভাপতি সাইদুল করিম মিন্টু জানান, আমি বর্তমানে ঢাকায় আছি। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি। আশা করি অচিরেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।