ঝিনাইদহে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে দিনেদিনে আক্রান্ত ও মৃত্যুর মিছিল বাড়তেই থাকছে। স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই নেই। লকডাউনে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন। কিন্তু প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কঠিন লকডাউনের মাঝেও সবকিছু উপেক্ষা করে দুঃখী মাহমুদ কলেজ (ডিএম) কলেজ মাঠে চলছে বাজার হাঁট ও কেনাবেচা। বুধবার (০৭ জুলাই) ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপার শেখপাড়ায় অবস্থিত দুঃখী মাহমুদ কলেজ প্রতিষ্ঠানটির মাঠে এই হাঁটের আয়োজন করে শেখপাড়া হাটবাজার কমিটি। হাটবাজার কতৃপক্ষ প্রথমিকভাবে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার আদেশ দিলেও কিছুক্ষণ পরে তাঁর অবণত হয়। এতে ঝুঁকি বাড়ার প্রবণতা দেখা দিবে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, একটানা অনেকদিন দোকান ও হাঁটবাজার বন্ধ থাকায় কৃষকেরা তাদের ফসল বিক্রয় করতে সমস্যায় পরেছে । এতে আর্থিকভাবে ভেঙ্গে পরেছে এলাকার অনেক কৃষক। হটাৎ বাজার কতৃপক্ষ ও কৃষকেরা একত্রিত হয়ে সাময়িক রূপভেদ করতে অনুযায়ী এই হাঁটের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। আবার অনেকেই ভীরজমাট বেঁধে পরিবেশ নষ্ট করার সৃষ্টি করছে। ক্রয় বিক্রয় ব্যতীত অনেকেই সময় কাঁটানোর জন্য কলেজে মাঠে অবস্থান করছেন। বাজারের ক্রেতারা জানান, লকডাউনে কৃষকদের বিভিন্ন সমস্যায় সম্মুখীন হয়ে এই সিদ্ধান্তে একত্রিত হয়। এতে প্রথমে সবাই স্বাস্থ্যবিধি মানলেও পরবর্তীতে তেমন চোখে পরেনা। এতে করে কৃষকসহ এলাকাবাসীর উপকার হবে। তবে যেস্থানে এই কলেজ এখানকার পেছনে এবং সামনে যথা পদমদী ও শ্রীরামপুর গ্রাম এখন শৈলকুপার করোনাময় গ্রাম। গত কিছুদিন আগে শ্রীরামপুর একজন মারা যায়। সকলেই সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। অন্যথায় অপ্রয়োজনে চলাফেরা না করে ঘরে থেকে দেশকে বাঁচায়।