এক তালাকপ্রাপ্তা নারীকে ইয়াবা সেবন করিয়ে ধর্ষন ও আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করার অভিযোগে দুই ধর্ষকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলাটি করেন ভিকটিমের মা পাতা বেগম। যার মামলা নং ২৭/২০২১। মামলার আসামীরা হচ্ছে ঝিনাইদহ শহরের ট্যাংকি পাড়ার খোন্দকার মিজানুর রহমানের ছেলে মাহবুবুর রহমান ওরফে বিডিআর মিলন, আদর্শপাড়ার তৌফিকুর রহমান টুটুলের ছেলে আশিকুর রহমান রোমেল ও শহরের পাগলাকানাই এলাকার ইজিবাইক চালক আলাউদ্দীনের মেয়ে সুমি আক্তার। মামলায় সুমি আক্তারকে ধর্ষনে সহায়তার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই রফিকুল ইসলাম। এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, তার মেয়ের বান্ধবী সুমি আক্তার মঙ্গলবার বিকালে বিউটি পার্লারে নিয়ে যাওয়ার নাম করে তার মেয়েকে শহরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের পেছনে নিয়ে যায়। সেখানে একটি বাড়িতে বিডিআর মিলন ও রোমেল ধর্ষন করে। ওই বাসায় নিয়ে তার মেয়েকে ইয়াবা ও গাজা সেবন করিয়ে ধর্ষনের পর ভিডিও ধারণ করে ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। বুধবার সকালে তার মেয়ে বাড়ি ফিরে এ সব তথ্য জানালে তাকে অসুস্থ অবস্থায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, বাদী বিবাদী উভয় অন্ধকার জগতে চলাফেরা করে অভ্যস্ত। এর আগে আসামী সুমি আক্তার জনৈক প্রদ্যুৎ নামে এক যুবকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় পুলিশের হাতে আটক হয়। ধর্ষক আশিকুর রহমান রোমেল গত ৩ জুন শহরের মহিলা কলেজ পাড়ার একটি বাসা থেকে নারী টিকটকার তুলির সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ে। বিডিআর মিলন শহরের শামীমা ক্লিনিকের সামনে থেকে ইয়াবাসহ ভ্রাম্যমান আদালতে ২৩ মাসের সাজাপ্রাপ্ত হয়। এই শোকে তার পিতা খোন্দকার মিজানুর রহমান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বলে কথিত আছে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি (তদন্ত) এমদাদুল হক বৃহস্পতিবার জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামীদের আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ দুই ধর্ষক ও ধর্ষনে সহায়তাদানকারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।