প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেওয়াই, ও পরিবারের অত্যাচারে পালিয়ে বিয়ে করার কারনে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন নব দম্পত্তি। প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করার কারনে মেয়ের পরিবার থেকে হয়রানি করা হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলেছেন সাংবাদিকদের কাছে এক দম্পত্তি।
তারা ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ৭নং কাজীরবেড় ইউনিয়নের সামন্তা বাজারের মোঃ নজরুল ইসলামের ছেলে মোঃ আব্দুর রহিম ও একই গ্রামের মোঃ নুর হোসেন এর মেয়ে মোছাঃ নুসরাত জাহান তন্নী। ১১ অক্টোবর, বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ তুলে ধরেন। এসময় আব্দুর রহিম জানান, আমার সাথে তন্নীর দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক থাকে। সম্পর্কের কথা পারিবারিক ভাবে জানালে, মেয়ের পরিবার অসম্মতি জানায়। এখন আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে আমরা দুজনাই প্রাপ্তবয়স্ক। তবে পারিবারিক চাপে প্রতি মূহুর্তেই আমাকে মৃত্যু ভয়ে থাকতে হচ্ছে, যেকোন মূল্যে তারা আমাকে হত্যা করবে। এর আগেও তারা আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে, এবং মিথ্যা মামলায় জড়ানোর চেষ্টা করেছে। এখন আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছি। আমদের কাছে সব কিছুর প্রমাণ আছে, আমাদের কাবিননামা হয়ে গেছে, তার ভিত্তিতে আমরা কোর্টে একটি এফিডেভিট করেছি।
এ বিষয়ে নুসরাত জাহান তন্নী অভিযোগ করে বলেন, আব্দুর রিহম আমার বাসার হোম টিউটর ছিলেন, সেখান থেকেই আমাদের সম্পর্ক হয়। সেটি আমার বাসায় জানালে বাসা থেকে কেউ মেনে নেয় না। এরপর আমার কলেজ যাওয়া বন্ধ করে দেয়, আমার ফোন ও নিয়ে নেই। এভাবে আমি বাসায় ১৪ দিন থাকার পরে নানি বাড়ী পাঠিয়ে দেই। গত পরশু দিন আমার ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন ও আমার মামা আমাকে অত্যাচার করে। আমার ভাই আমাকে প্রতিরাতে কিসের ওষুধ খাওয়াই তা আমি নিজেও জানি না। শুধু বলে ঘুমের ওষুধ, কিন্তু ওষুধ খাওয়ার পরে কখনোই আমার ঘুম আসতো না। তখন জোর করে আমার হাত-মুখ বেধে একটি ইনজেকশন দেয়। পরে ভাই মামাকে বলে দেখে রেখো আমি গাড়ী নিয়ে আসছি। তখন আমি বুঝতে পারি আমর ক্ষতি হতে যাচ্ছে। তখন আব্দুর রহিমের সাথে যোগাযোগ করে পালিয়ে এসে আমরা স্ব ইচ্ছায় বিয়ে করি। বর্তমান সমস্যার কথা তুলে ধরে নব-দম্পত্তিরা জানান, আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, আমরা চায় সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে। আমরা প্রশাসনের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আমরা নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা চায়। এ বিষয়ে নুসরাত জাহান তন্নির ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত পরশু থেকে আমার বোনকে খুজে পাচ্ছিনা, আমরা এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ করেছি, তবে আমার বোন যে অত্যাচারের অভিযোগ করেছে এ বিসয়টি সত্য নয়।
এ বিষয়ে মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শামীম উদ্দিন বলেন, যেহেতু মেয়েটি আলমডাঙ্গা থানা থেকে নিখোজ হয়েছেন, সেকারনে পরিবারের পক্ষ থেকে আলমডাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যেহেতু ছেলে ও মেয়ের বাড়ি মহেশপুর থানায় হওয়াতে বিষয়টি আমাদেরকে অবগত করা হয়েছে। আমরা সঠিক তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কাজ করছি।