শৈলকুপা প্রতিনিধি,ঝিনাইদহ:
নির্বাচনী উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে ঝিনাইদহের শৈলকুপায়। উপজেলা জুড়ে চলছে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই। হানাহানি মুক্ত করতে তৎপর রয়েছে পুলিশ। তবে ভিন্ন চিত্রও দেখা গেছে।
শৈলকুপায় শত শত ক্যাডার,কিশোর গ্যাং থাকলেও তারা রয়েছে ধরাছোয়ার বাইরে। রবিবার ভোরে সাতগাছি গ্রাম থেকে সুরত আলী মোল্লার ছেলে লাল্টু মোল্লা(৬০)কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। তবে তার বিরুদ্ধে থানায় নেই কোন অভিযোগ। ঠিক কি কারণে থানায় আনা হয়েছে তার কারণ জানাতে পারেনি শৈলকুপা পুলিশ। হয়রানির শিকার লাল্টুর ভাই নায়েব আলী জানান,ভোরে নামাজ শেষে মাঠে সেচযন্ত্র বন্ধ করতে গেলে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে আসে। আমার ভাই দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ।
সে হার্ট,ডায়াবেটিকস সহ নানা রোগে আক্রান্ত। তবে থানায় আসার পর থেকে তাকে কোন ঔষধ খেতে দেওয়া হয়নি। বিষয়টি একাধিকবার শৈলকুপা থানার ওসি শফিকুল ইসলামকে জানালেও তিনি কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে গরমের মধ্যে সারাদিন থানায় আটকে রাখায় সন্ধ্যায় প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে পুলিশ তাকে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি আরও বলেন, আমার ভাই একজন পেয়াজ ব্যবসায়ী। তার জীবদ্দশায় কোন মামলা বা অভিযোগ নেই। এলাকায় নিরীহ মানুষ হিসেবেই পরিচিত তিনি। পুলিশের এহেন কর্মকান্ডে আমরা হতভম্ব হয়ে পড়েছি। আমরা এর সঠিক বিচার দাবি করছি।
এব্যাপারে জানতে ঝিনাইদহের শৈলকুপা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার অমিত বর্মনকে কল করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
শৈলকুপা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লাল্টুকে থানায় আনা হয়েছিল। সন্ধায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,পরে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
লাল্টুকে কি কারণে পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে এবিষয়ে জানতে চাইলে ঝিনাইদহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিদুর রহমান জানান,সন্দেহজনকভাবে তাকে থানায় আনা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অপরাধে জড়িত না থাকলে শৈলকুপা থানা পুলিশকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার আজিম উল-আহসান বলেন,সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি পুলিশ হেফাজতে একজন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।