নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মেসেজ দিয়েছেন, “তুমি শান্ত থেকে কাজ করো। আর নিজের শরীরের প্রতি যত্ন রাখো। কোম্পানীগঞ্জের সব সমস্যা অচিরেই সমাধান করা হবে।”’
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যার একটু আগে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে মেসেজ দিয়েছেন বলে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ফেসবুকে লাইভে এসে দাবি করেন কাদের মির্জা।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা। প্রায় ২৪ মিনিটের ফেসবুক লাইভে তিনি উল্লেখ করেন, ‘গত কয়েক দিন সবাইকে একটা ষড়যন্ত্রকারী চক্র আছে, তারা বলে বেরিয়েছে আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করছে। আসলে বিষয়টা শুনতে হাস্যকর সবার কাছে। আমাকে কেন দল থেকে বহিষ্কার করবে? কী কারণে? আমার বিরুদ্ধে এত ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত হওয়ার পরও আমি শান্ত থেকে সব পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছি।’
কাদের মির্জা বলেন, ‘আসলে আমাদের এলাকায় আজ যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, এটা যদি আরও আগেই হস্তক্ষেপ করা হতো বিভিন্ন পর্যায় থেকে, তাহলে আজকের পর্যায়ে পৌঁছাত না। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, যাদের দায়িত্ব ছিল, তাদের অবহেলার কারণে আজকের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তারপরও আমি খুশি হয়েছি, নেত্রী বলেছেন, অনতিবিলম্বে বিষয়টির সমাধান করবেন।’
আমি আজ এই কিছু বিষয় নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে কথা বলেছি, সেগুলো হচ্ছে আমার বাবা–মাকে যারা গালি দিয়েছে, আবার বাবাকে যারা রাজাকার বলেছে, তাদের বিষয়ে আমি কঠিন বিচার চেয়েছি।
আবদুল কাদের মির্জা লাইভে আরও বলেন, ‘আমি প্রত্যাশা রাখব, শান্তির স্বার্থে অচিরেই কোম্পানীগঞ্জের সমস্যার সমাধানের। আজকে রাজনীতি এমন একপর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে, বিরোধী দলবিহীন রাজনীতিতে সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের নীতিনৈতিকতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, রাজনীতি করার মতো পরিবেশ দিন দিন নষ্ট হচ্ছে, এটা চলতে দেওয়া যায় না।’
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জা বলেন, ‘এখানে দুজন মায়ের বুক খালি হয়েছে। আমার পৌরসভায় দুই হাজার গুলি হয়েছে। ছয়বার আমাকে হত্যার পরিকল্পনা হয়েছে। আমার ছেলের মাথা ফাটিয়ে চৌচির করা হয়েছে। আমার বাবা-মাকে গালাগাল করেছে। আমার বাবাকে রাজাকার বলেছে। আমি আজ এই কিছু বিষয় নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে কথা বলেছি, সেগুলো হচ্ছে আমার বাবা–মাকে যারা গালি দিয়েছে, আবার বাবাকে যারা রাজাকার বলেছে, তাদের বিষয়ে আমি কঠিন বিচার চেয়েছি। আমি কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছি, আমি আশাবাদী, এটার সুবিচার দলের কাছে পাব।’
কাদের মির্জা বলেন, ‘কোম্পানীগঞ্জে গত পাঁচ মাসে যে ঘটনা ঘটেছে, আর চলতে দেওয়া যায় না। কোম্পানীগঞ্জে আজ থেকে অস্ত্র উদ্ধার শুরু করুন। আজ সন্ত্রাসীদের হাতে অস্ত্র রেখে কোনো শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। দ্বিতীয় দাবি, প্রশাসন শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। আমার পক্ষে থাকবে, আমি এই নীতি বিশ্বাস করি না। প্রশাসন নিরপেক্ষ থেকে এখানকার আগামীর পরিস্থিতিগুলো মোকাবিলা করবে।’