ভারতে নিষিদ্ধ ঘোষিত কোডিন ম্যালাইড এবং ম্যানকফ ডিএক্স সিরাপ এখন বাংলাদেশে পাচার হচ্ছে। এই দুইটি সিরাপ সেবনের পর নেশা হয়। এর আগে এসকাপ ও ডায়ালাক্স ডিসি নামে নতুন দুইটি সিরাপ মহেশপুর সীমসান্ত থেকে উদ্ধার হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে বাংলাদেশে আসা ২৪ ধরনের মাদক এ পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। আর এসব মাদকের মধ্যে রয়েছে ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন, গাঁজা, চোলাই মদ, দেশি মদ, বিদেশি মদ, বিয়ার, রেক্টিফাইড স্পিরিট, ডিনেচার্ড স্পিরিট, তাড়ি, প্যাথেডিন, বুপ্রেনরফিন (টি.ডি. জেসিক ইঞ্জেকশন), ভাং, কোডিন ট্যাবলেট, ফার্মেন্টেড ওয়াশ (জাওয়া), বুপ্রেনরফিন (বনোজেসিক ইঞ্জেকশন), মরফিন, আইচ পিল, ভায়াগ্রা, সানাগ্রা, টলুইন, পটাশিয়াম পারম্যাংগানেট ও মিথাইল-ইথাইল কিটোন। তবে সংখ্যায় এত হলেও আসলে বাংলাদেশের মাদকসেবীরা সেবন করে ৬ থেকে ১০ ধরনের মাদক। সবচেয়ে ভয়াবহতা ইয়াবাকে ঘিরে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে অফিস-আদালত সবখানেই মিলছে ইয়াবা। যদিও সম্প্রতি মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর পর অনেকটা গোপনে বিক্রি হয় এই মাদক। এতো এতো মাদকের মধ্যে এবার কোডিন ম্যালাইড এবং ম্যানকফ ডিএক্স সিরাপ উদ্ধারের খবর দিয়েছে মহেশপুর ৫৮ বিজিবি। বুধবার বিজিবির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এ খবর জানা গেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সুত্রে খবর পেয়ে মহেশপুর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের একটি মেহগনি বাগানে মালিকবিহীন নিষিদ্ধ ৫০ বোতল ভারতীয় কোডিন ম্যালাইড এবং ম্যানকফ ডিএক্স সিরাপ ৩০ বোতল সর্বমোট ৮০ বোতল উদ্ধার করা হয়।