জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ঝিনাইদহ জেলার সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডলের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে হয়রানি ও জোরপূর্বক ক্ষতিপূরণ আদায়ের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ঝিনাইদহের সহিদ বীজ ভান্ডারের মালিক শহিদুল ইসলাম।
শনিবার সকাল ১০ টায় ঝিনাইদহ শহরের অগ্নিবীনা সড়কে নিজ বাসভবনে এই সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সুচন্দন মন্ডলের ব্যক্তি আক্রোশের শিকার হয়েছেন তিনি। যেই কৃষকরা অভিযোগ করেছেন তারা বীজের বস্তার গায়ে মূল্য,বীজের জাত ও মেয়াদ সম্বলিত ট্যাগ ও মেমো দেখাতে পারেননি। যেই ক্ষেত নষ্ট হওয়ার অভিযোগ করেছেন সেই জমিতে ধান ফলেছে। কিন্তু ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল তাকে জোর পূর্বক জরিমান করেছেন। সহিদ বীজ ভাণ্ডারের মালিক সহিদুল ইসলাম বলেন, আমি উকিল সহকারে তার কার্যালয়ে যায়। তিনি উকিলের সামনেও আমাকে হুমকি প্রদান করেন। তিনি আমার দোকান সীল-গালা করে দেওয়ার হুমকি প্রদান করেন। তিনি দাবি করেন, বীজ তলায় চারা বয়স বেশি হয়ে যাওয়ার কারণে এমন সমস্যা হয়েছে প্রথমে কিন্তু আমি চাষিদের যে পরামর্শ দিয়েছি তারা সেই পরামর্শ মানেননি। যেই কৃষকরা মেনেছেন তাদের জমিতে ধান ফলেছে। সেই বীজে যদি ধান ফলেই থাকে তাহলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আমাকে জরিমানা করলো কেন? তিনি বলেন, সুচন্দন মন্ডল একা একা তার বীজ ভাণ্ডারে প্রবেশ করে বীজের প্যাকেট পরীক্ষা করতে শুরু করেন। তিনিতো কোন কৃষিবিদ নন। তিনি কোন কৃষি কর্মকর্তাকেও সাথে নিয়ে আসেননি।
আমি তার কাছে এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমাকে আইন শেখাবেন না। আপনি জানেন আমি আপনাকে কি করতে পারি? আপনি কালকেই আমার অফিসে দেখা করবেন। তিনি বলেন,সুচন্দন মন্ডল তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাকে অন্যায়ভাবে জরিমানা করেছেন। আমি এর ন্যায্য বিচার দাবি করছি সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে। উল্লেখ্য হরিণাকুণ্ডু উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের ৭ জন কৃষকের জমির ধান লাগানোর পরপরই ধানের শীষ বের হয়ে যায় । কৃষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ঝিনাইদহ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল সহিদ বীজ ভাণ্ডারকে ২ লাখ ২৯ হাজার টাকা জরিমানা করে। এই সংবাদ সম্মেলনে ঝিনাইদহ শহরের মদীনা বীজ ভান্ডারে মালিক আবু তাহের ও হাসান বীজ ভান্ডারের হাসান অামু উপস্থিত ছিলেন। সহিদুল ইসলামের উকিল অ্যাড শামসুজ্জামানসহ বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ার ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।