‘পরিশ্রমি সফলতার মুল উৎস ‘ এ কথাটির প্রমাণ দিলেন, মাগুরার এক তরুণ যুবক। সম্প্রতি এই যুবক মাশরুম চাষে সফলতা অর্জনের পাশাপাশি ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন নিজ এলাকা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকা এমনকি পাশের জেলা গুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে তার এই অর্জন। তরুণ এই যুবকের বাড়ি মাগুরা জেলার ৩ নং কুচুন্দি ইউনিয়ন এর রামনগর গ্রামের মো: আব্দুল গণি বিশ্বাস এর ছেলে মোঃ উসমান ফারুক মাশরুম চাষে সফলা অর্জন করেছেন,তিনি পরিবারের ছোট ছেলে।
তার সফলতার গল্প সুনতে চায়লে তিনি জানান। হতদরিদ্রতার মাঝে বসত ভিটা ছারা বাবা মায়ের তেমন কিছুই ছিলনা,আর এই দরিদ্রতার কসা ফাদে জর্জরিত পরিবারটিতে জন্ম নেন তিনি। কোন মত মাধ্যমিকে গন্ডি পার কোরে উচ্চ মাধ্যমিকে পা দেওয়ার পর পরালেখা করতে পারেনি। জীবিকার প্রয়োজনে চায়ের দোকানে, মুদির দোকানে, তরকারি বিক্রি,ফুটপাতে চপ বিক্রি সহ রাজমিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে এবং ইটের ভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেছেন,কিন্তু কথাও মেলেনি সচ্ছলতা।
তার সচ্ছলতার গল্পটা শুরু হয় ২০১৮ সালে।কৃষি অধিদপ্তর ও যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০০০টাকা এবং ১০০টি বিজ নিয়ে বারিতেই ছোট্ট একটি কুরেঘরে শুরু করেন মাশরুম চাষ।প্রথমে এই মাশরুম নিয়ে শহরের বিভিন্ন দোকানে দোকানে বিক্রি করে বেরাতেন।তবে তার এতদিনের জীবন যুদ্ধের লড়াই বিফলে যায়নি আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে তার মাশরুম বিক্রি।তিন বছর অক্লান্ত পরিশ্রমে এখন প্রায় এক বিঘা জমির উপরে গড়ে তুলেছেন প্রায় 2 লক্ষ টাকা খরচ করে নিজ গ্রামে করে তুলেছেন উসমান মাশরুম সেন্টার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ আশা ব্যক্ত করে তিনি বলেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি এই সফলতার বিষয় টিকে আমলে নেন এবং সহোযোগিতার হাত বড়িয়ে দেন তাহলে কৃষি খাতে আরে উন্নতি হবে বলে জানিয়েছেন।