সাত লাখ টাকা নিয়েও চাকরী দিতে পারেননি পাঁচপাখিয়া সিদ্দিকীয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার ফিরোজী। চাকরী দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা করেছেন ঝিনাইদহের সদর উপজেলার ভুটিয়ারগাতি গ্রামের মৃত সদর উদ্দিনের ছেলে হেকমত আলী নামে এক চাকরী প্রত্যাশী।
হেকমত আলীর আইনজীবী জানিয়েছেন, আদালত মামলা আমলে নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদনের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার ফিরোজী। ঝিনাইদহ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে, দায়েরকৃত পিটিশন সূত্রে জানা গেছে, ভুটিয়ারগাতী গ্রামের হেকমত আলী তার ছেলে ইমরানের এমএলএসএস পদে চাকরীর জন্য পাঁচপাখিয়া সিদ্দিকীয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার ফিরোজীকে তিন দফায় সাত লাখ টাকা দেন। এরপর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর চাকরী দেয়া হয়নি ছেলে ইমরানের। এখন টাকা ফেরৎ চাইলে নানা অজুহাত তালবাহানা করছেন অধ্যক্ষ। ভূূূক্তভোগী হেকমত আলীর ভাষ্যমতে, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার ফিরোজীর সাথে আগে থেকেই চেনাজানা ছিল। সেই সুত্রে তিনি তাকে টাকা দেন। স্থানীয়ভাবে শালিস বৈঠকে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও টাকা দেননি অধ্যক্ষ। উপায়ান্তর না পেয়ে তিনি ঝিনাইদহের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পিটিশন মামলা করেন, যার নাম্বার ৭৩৩। মামলা করার পর টাকা ফেরত না দিয়ে অধ্যক্ষ নানা হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করছেন হেকমত আলী। বিষয়টি নিয়ে পাঁচপাখিয়া সিদ্দিকিয়া ফাজিল সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার ফিরোজী বলেন, অনেক বছর ধরেই এমএলএসএস পদ ফাঁকা নেই। ফলে মাদ্রাসায় কোন নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়নি। তাই আমি কারো কাছ থেকে অর্থ গ্রহন করিনি। অভিযোগকারীকে আমি চিনিও না বলে অধ্যক্ষ দাবী করেন।
মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি নূর আলম বিশ্বাস জানান, এ ঘটনার সঠিক তদন্ত হওয়া উচিৎ। তার সময়ে অতি গোপনে এসব টাকা লেনদেন করা হতে পারে। অধ্যক্ষ অনেকের কাছ থেকে এভাবে প্রতারণা করে টাকা নিয়েছেন বলে আমি শুনেছি। এ ব্যাপারে মাদ্রাসা কমিটির আহবায়ক হাবিবুর রহমান বলেন, মাদ্রাসায় আমি নতুন আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি। এ সম্পর্কে আমি এখনো কিছুই জানি না।