ঝিনাইদহের শৈলকুপার এক কোটিপতি স্কুল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে। নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়লেও নাম মাত্র কর দিয়ে তিনি প্রকৃত সম্পদ গোপন করে যাচ্ছেন। তার সম্পদের সঠিক অনুসন্ধান করলে বেরিয়ে আসবে অনেক অজানা তথ্য। মহিলা হয়েও তিনি হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী। প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায়, শৈলকুপা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শারমিন আক্তার তানিয়ার পেশা শিক্ষকতা হলেও তার অনেক ব্যবসা রয়েছে। শৈলকুপায় বেনামে পরিচালনা করেন ইটভাটা। ঢাকায় রয়েছে একাধিক প্লট ও ফ্লাট। ঢাকার বনশ্রীতে রয়েছে ১৬০০ স্কয়ার ফিটের ফ্লাট। ঢাকার মোহাম্মদপুরের চন্দ্রিমা উদ্যানে রয়েছে ১৮০০ স্কয়ার ফিটের দৃষ্টিনন্দন কোটি টাকার ফ্লাটসহ রয়েছে একাধিক প্রাইভেট কার ও ট্রাক। নামে বেনামে রয়েছে একাধিক এফডিআর ও সঞ্চয় হিসাব। শৈলকুপা বাজারের চৌরাস্তা মোড়ে ও দুধবাজার মোড়ে ২০টি দোকান ভাড়া দেওয়া রয়েছে। আর এসব দোকান থেকে হাজার হাজার টাকা ভাড়া উঠালেও তা কর নথিতে প্রদর্শিত হয়নি। ভাটার রমরমা ব্যবসা অভিনব কায়দায় কর ফাঁকি দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। শৈলকুপার অগ্রণী, জনতা ও সোনালী ব্যাংকসহ একাধিক ব্যাংকে রয়েছে লাখ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন। এত সম্পদ থাকার পরও এসব সম্পদের হিসার কর নথিতে প্রদর্শিত হয়নি বলে অভিযোগ। শারমিন আক্তারের নামে কর ফাকির মামলা থাকলেও আসল সম্পদের হিসাব তার কর নথিতে গোপন করেছেন। ফলে প্রতি বছর হাজার হাজার টাকার কর ফাকি দিয়ে সরকারকে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করছে। কর ফাঁকির এই বিষয়টি নিয়ে শৈলকুপার ব্যবসায়ী মহলে শোরগোল শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক শারমিন আক্তারের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ কর অঞ্চলের সহকারী কর কমিশনার অনাথ বন্ধু সাহা জানান, তিনি আপীল ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন। নথি ঝিনাইদহ অফিসে ফিরে আসলে প্রকৃত তথ্য জানা যাবে। তিনি বলেন, কর ফাঁকি বা সম্পদ গোপন করে কেও রেহাই পাবেন না। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলেও সহকারী কর কমিশনার অনাথ বন্ধু সাহা জানান।