ঝিনাইদহের শৈলকুপায় জনগুরুত্বপূর্ণ পাউবোর ব্রীজ নির্মানে অনিয়মের পাহাড়
জমে উঠেছে। এ নিয়ে খোদ দপ্তরেই চলছে ক্ষোভ অসন্তোষ। ইতমধ্যে শাখা কর্মকর্তা বিকর্ণ দাস নিজেকে অফিসিয়াল সেভ রাখতে একটি লিখিত আবেদন করেছেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে। একাধিকবার মৌখিক আবেদনও করেছেন।
সর্বশেষ গত ০৩ নভেম্বর স্মারক নং- বিকে-০১/৫০ তথ্য ও সরেজমিনে খোঁজ
নিয়ে জানা যায়, প্রায় ৪ কোটি টাকার ব্রীজটির কাজ শুরু থেকেই অনিয়ম জেঁকে বসেছে। বিষয়টি সুধিমহলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে গত জুন মাসে স্মারক নং-বি-২৪/১৯২৩,
১৮-১০-২০২১ তারিখে পুরাতন সিমেন্ট, সাইটে মজুদ নিম্নমানের সিঙ্গেলস সমূহ অপসারনের নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সময়ে সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী প্রকৌশলীর অনুমতি ব্যতিত ডিজাইন ও স্পেসিফিকেশন ছাড়া কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়। অথচ অফিস আদেশ অমান্য করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি লে-আউট চেক বহির্ভূত ৫ ফুট উপর থেকে মূল পাইলিং এর কাজ
করে যাচ্ছে। যার দায়ভার এড়াতে অফিসকে অবহিত করেছেন শাখা কর্মকর্তা বিকর্ণ দাস।
কাতলাগাড়ী বাজার ব্যবসায়ী আজিম উদ্দিন জানান, জনৈক ঠিকাদার প্রচুর প্রভাবশালী সে কারনেই ধরাকে স্বরাজ্ঞান করে দায়সারা গোছের কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি জানান, আজ পর্যন্ত জনস্বার্থে দুপারে পারাপারের জন্য একটি অস্থায়ী পাশ্ববর্তী রাস্তা করা হয়নি, যত্রতত্র ঠিকাদার মালামাল রেখে বাজার ও রাস্তা ব্যবহারের অনুপযোগী করে তুলেছে। কয়েক গ্রাম ঘুরে কাতলাগাড়ী বাজার থেকে শৈলকুপা যেতে হচ্ছে।স্থানীয়দের কোনো কথায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কর্ণপাত করেনা।
বাজারের একাধিক ব্যবসায়ীদের প্রশ্ন, কাজের মান-গুন কেমন হলে একজন শাখা কর্তকর্তা দায়িত্ব থেকে দায়মুক্ত হওয়ার অফিসিয়াল চেষ্টা করতে পারেন কনষ্ট্রাকশন ফার্মে যা নজিরবীহিন।
শাখা কর্মকর্তা বিকর্ণ দাস জানান, ঠিকাদার কোন অফিস আদেশ মানেন না একারনেই ডিজাইন ও স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী কাজ বাস্তবায়ন করা তাŧর পক্ষে কষ্টসাধ্য। এভাবে কাজ চলতে থাকলে পরবর্তীতে পাইলে কোন ক্ষতি কিংবা সাইটের কোন সমস্যা হলে তিনি দায়ী থাকবেন বলেই কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কর্মকর্তা মোঃ আশিকুর রহমান জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ইতমধ্যে সর্তক করা হয়েছে, পূরনো রড, সিমেন্ট ও পাথর বদলিয়ে স্টিমেট অনুযায়ী মালামাল সরবরাহ করতে আদেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও আগামী সপ্তাহের মধ্যেই একটি বাইপাস রাস্তা নির্মান করা হবে এবং ইতমধ্যে ২৮টি পাইলিং সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, যথাযথভাবে কাজ না করলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অবশ্যই দাপ্তরিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।