আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী নজরুল ইসলাম দুলালের সঙ্গে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, বিশ্বাস বিল্ডার্স ও দৈনিক কালবেলার ব্যবস্থপনা পরিচালনক আলহাজ নজরুল ইসলাম দুলালের নিজ বাস ভবনে আবাইপুরের পাচঁপাখিয়া গ্রামে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ওই মতবিনিময় সভায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হন। এ সময় অনান্যদের মধ্যে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সরোয়ার জাহান বাদশা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আজাদুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শ ম জুলফিকার কায়সার টিপু, উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক বাবলু জোয়ার্দ্দার, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য রেজাউল খানসহ শতাধিক নেতাকর্মীরা।
এ সময় নেতাকর্মীরা জানান, ঝিনাইদহের শৈলকূপায় দীর্ঘদিনের সামাজিক কোন্দল ও দলীয় প্রতিপক্ষের আধিপত্যের জেরে সহিংসতার মাধ্যমে শত শত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। যে কারণে বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুল হাই এর দায় এড়াতে পারেন না। গোটা দেশে উন্নয়ন হলেও শৈলকূপাতে তেমন দৃশ্যত কোনো উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ আজ চরমে পৌঁছেছে।
তারা আরও অভিযোগ করে জানান, গত শুক্রবারও গোলকনগর গ্রামে আব্দুল হাই এমপির সমর্থিতদের হামলায় দুলাল বিশ্বাস গ্রুপের আবু সাঈদ বিশ্বাস নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত হয়েছে।
অবিলম্বে তারা পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবি জানান, জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। দলীয় নেতা-কর্মীরা আরও জানান, নিজ দলের কর্মীদের মিথ্যা মামলাসহ নানা রকম ভয়-ভীতি থেকে রেহাই পেতে শৈলকূপার জনগন নতুন মুখ হিসেবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দুলাল বিশ্বাসকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান।
এ সময় দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম দুলাল বলেন, সমাজে সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা ও গোলযোগ আমি চাই না। আমি শান্তি প্রিয় মানুষ। এলাকার মানুষের মানব কল্যাণে কাজ করে যেতে চাই। আপনাদের বিপদে-আপদে সুখ-দুঃখের সাথী হয়ে বাচঁতে চাই। আপনারা সকল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করে জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নানা উন্নয়নের কথা তুলে ধরবেন। উন্নয়ণ অব্যাহত রাখতে হলে আবারও এ সরকারকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনতে হবে। সে কারণে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে দলের পক্ষে কাজ করুন। আমি আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে আপনাদের সেবা করার জন্যই বছরের পর বছর ধরে এলাকার জন্য কাজ করে চলেছি এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।