28.9 C
Bangladesh
Saturday, 17, May 2025
spot_img

সড়ক নয় যেন মরণ ফাঁদ

ঝিনাইদহের শৈলকুপার একটি সড়কের ১৩ কিলোমিটারের মধ্যে অনেক জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। শৈলকুপা শহরের পশ্চিম পাশের প্রায় ১৫ গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ ঝিনাইদহে যাওয়ার জন্য এ সড়কটি ব্যবহার করেন। এ সড়কটিই তাদের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের গাড়াগঞ্জ থেকে একটি সড়ক শৈলকুপা উপজেলার কবিরপুর বাজার হয়ে রয়েড়া, এমপি মোড়, ফাদিলপুর, আবাইপুর, ফটিকতলা হয়ে ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কের হাটগোপালপুর গিয়ে মিলেছে। এই সড়কে যাত্রীবাহী বাসসহ ও সব ধরনের ছোট যানবাহন চলাচল করছে। ব্যাটারিচালিত ভ্যানে যাতায়াত করেন স্থানীয়রা। এ সড়কের কবিরপুর থেকে আবাইপুর পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার অংশের অবস্থা খুবই খারাপ। বেশিরভাগ স্থানের পিচঢালাই উঠে গেছে। দেখলে মনে হয়, এটা একটি ইটের রাস্তা। সড়কটির অনেক স্থানে বড় বড় গর্ত তৈরি হওয়ায় চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলে গর্তে পানি জমে থাকে।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালে সড়কটি এক দফা সংস্কার হয়েছিল। এরপর আর সংস্কার করা হয়নি। গত অর্থ বছরে কিছু কিছু জায়গা সংস্কার করা হয়েছিল, বাকি জায়গার গর্তগুলো রয়ে গেছে। সংস্কার করা স্থানগুলোও ভাঙতে শুরু করেছে।
স্থানীয় ইজিবাইকচালক তানভির আহম্মদ বলেন, আমরা এখানে বসে অনেক উন্নয়নের গল্প শুনি। কিন্তু আমাদের শৈলকুপায় কোনো উন্নয়ন দেখি না। আমাদের চলাচলের একমাত্র সড়কটি বছরের পর বছর ভাঙাচোরা পড়ে আছে। কিন্তু সংস্কার হয় না। এই ভাঙাচোরা সড়ক দিয়ে চলতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনায় পড়তে হয়।
রয়েড়া এলাকার বাসিন্দা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, আমরা সাধারণ মানুষ চাই রাস্তাঘাট ভালো থাকবে। কিন্তু আমাদের সেই আশা পূরণে কেউ এগিয়ে আসে না।
হাটফাদিলপুর গ্রামের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বলেন, আবাইপুর, বগুড়া ও নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের মানুষ এই বাজারে আসেন। সপ্তাহে দুই দিন এখানে বাজার বসে। প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। কিন্তু সড়কটি খারাপ হওয়ায় তাদের বাজারে আসতে সমস্যা হয়। এছাড়া এ সড়ক তিনটি বড় বাজারসহ বেশ কয়েকটি ছোট বাজারের মাঝ দিয়ে চলে গেছে। এই সড়ক দিয়েই বাজারগুলোর ব্যবসায়ীরা ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে পণ্য আনা নেওয়া করেন।
এ বিষয়ে শৈলকুপা উপজেলা প্রকৌশলী মো. রুহুল ইসলাম বলেন, সড়কটির একাধিক স্থান সংস্কার করা হয়েছে। গত অর্থ বছরে চার কিলোমিটার সংস্কার করা হয়। এবার বাকি ৯ কিলোমিটারের জন্য প্রকল্প তৈরি করে ঢাকায় এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে কাজ শুরু করা হবে।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

0FansLike
0FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles