রাষ্ট্রপতি পদক প্রাপ্ত মিরাজ জামান রাজ এর উপর হামলায় ঘটনায় ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাকিম মনির সহ ০৬ জনের নামে মামলা
————————————————-
দুরন্ত প্রকাশ ডেস্ক: ঝিনাইদহে রাষ্ট্রপতি ভিডিপি সেবা পদক প্রাপ্ত মিরাজ জামান রাজের এর উপর হামলার ঘটনায় ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ সদস্য মোস্তাকিম মনির সহ মোট ০৬ জন কে আসামী করে আদালতের মাধ্যমে সদর থানায় এজাহার দায়ের হয়েছে।
মিরাজ জামান রাজ নিজে বাদী হয়ে গত ২৯ নভেম্বর ঝিনাইদহ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে একটি মামলার অভিযোগ দায়ের করেন (ঝি পি-৩২৭/২০), আদালতের বিচারক বৈজয়ন্ত বিশ্বাস মামলাটি আমলে নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ প্রদান করেন। ০১ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ সদর থানায় এজাহার হিসেবে মামলাটি রেকর্ড হয়। ঝিনাইদহ থানার মামলা নং ০৩, তারিখ: ০১/১২/২০২০ (ঝি জি আর-৪৯৪/২০)।
উক্ত মামলায় হুকুমের আসামী হিসেবে ১ নং আসামী ঝিনাইদহ শহরের ০৩ নং পানির ট্যাংকি পাড়া নিবাসী মৃত আব্দুস সাত্তার এর পুত্র ও ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ সদস্য মোস্তাকিম মনির এছাড়াও অন্যান্য আসামীদের মধ্যে রয়েছে তারই পিএস খ্যাত হামদহ ০৩ নং পানির ট্যাংকি পাড়ার মোঃ তুহিন বিশ্বাস এর ছেলে মোঃ রকি, একই এলাকার মোঃ একরাম উল্লাহ ছেলে মোঃ শাকিল রায়হান, মোঃ রফিকুল বিশ্বাসের ছেলে মোঃ সোহাগ হোসেন, রশিদুল ইসলামের ছেলে মো: পারভেজ ও হামদহ খন্দকার পাড়ার বাসিন্দা খন্দকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে খন্দকার হাসিন সাহাদ জোহান।
মামলা সম্পর্কে মিরাজ জামান রাজ জানান মোস্তাকিম মনির জেলা পরিষদ হতে বন্দোবস্ত প্রাপ্ত সামান্য একটু জমি দখলকে কেন্দ্র করে ২০১৮ সাল হতে তাকে নানাভাবে ক্ষয়ক্ষতি করে আসছে। ইতিপূর্বেও তার উপর বেশ কয়েকবার হামলা হয়েছে। ঝিনাইদহ আদালতে এসংক্রান্ত পূর্বের একটি মামলাও রায়ের অপেক্ষায় আছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সম্প্রতি ছোটখাটো একটি বিষয়কে নিয়ে মনির তার পিএস মাদকসেবী ও মাদক মামলায় জেলাখাটা আসামী মোঃ রকি ও তার বাহিনীকে দিয়ে তাকে নানা রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করছিলো। এব্যাপারে তিনি সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরীও করেন (জিডি নং-৮৫০, তারিখ: ১৭/১১/২০২০)। উক্ত জিডি করার মাত্র দুদিনের মাথায় গত ২০ নভেম্বর রাত আনুমানিক ৯টায় পুলিশ লাইন হতে বাইপাস রোডে যাওয়ার পথিমধ্যে আসামীরা কিছু সময় তাকে ফাকা রাস্তায় একা পেয়ে হামলা করে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যাই। তার মাথা, কপাল ও ভ্রুতে ০৪টি সেলাই, হাত, হাটু সহ শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে তাকে গুরুতর আহত করেছে। পরে রানিং রাস্তায় চলন্ত গাড়ি দাড়িয়ে গেলে তার আলোতে তাকে পড়ে থাকতে দেখে আশে পাশের মানুষ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। যা অনেকেই নিছক সড়ক দূর্ঘটনা ভেবেছে এবং আসামীরাও সুকৌশলে লোকমুখে তাই প্রচার করে দিয়েছে। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা ভিন্ন, তিনি এসংক্রান্ত একটি প্রেস কনফারেন্স করবেন বলেও জানান।